এই প্রথম সুদীপ্তা ও তাঁর মেয়ে শাহিদা নীরা একসঙ্গে বড় পর্দায়। সুমন ঘোষের আগামী বাংলা ছবি ‘সার্চিং ফর হ্যাপিনেস…’এ তাঁরা মা-মেয়ের চরিত্রেই। সুদীপ্তা-শাহিদার মতো এ ছবির গল্পেও বাস্তবের ছোঁয়া। সুমন নিজের মেয়ের গল্পই বলছেন এখানে। ”তখন আমার মেয়ের বয়স ছ’বছর। আমেরিকার বাড়িতে রয়েছি। ও একটা বেলুন ফুলিয়ে তাতে স্মাইলি আঁকছিল। তার পর বারান্দায় গিয়ে সেটা উড়িয়ে দেয়। খানিকক্ষণ পরে মুখ ভার করে কাঁদতে লাগল। জিজ্ঞেস করে বুঝতে পারলাম, বেলুনটার নাম দিয়েছিল ‘হ্যাপিনেস’। বেলুনটা উড়ে উড়ে নানা জায়গায় গিয়ে হ্যাপিনেস ছড়াবে। ওর দাদু-দিদার কাছেও উড়ে যাবে, প্রথমে এটাই ভেবেছিল। কিন্তু বেলুন উড়িয়ে দেওয়ার ফলে ওর কাছে আর কোনও হ্যাপিনেস রইল না,” মেয়ে মায়ার এই ঘটনা থেকেই ছবির ভাবনা সুমনের। মেয়ের সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন সুদীপ্তার? ”ওর অনেক প্রশ্ন, অনেক কৌতূহল। সাজপোশাক নিয়ে অনেক জিজ্ঞাসা। সেগুলো মেটাতে হচ্ছে। তার উপরে আমাদের কোনও স্ক্রিপ্ট নেই। আমার ভয় ছিল নীরা কেমন করবে। তবে পরিচালক খুবই খুশি,”। ছবিতে মায়ের অজান্তেই শাহিদা বেরিয়ে পড়ে হ্যাপিনেস খুঁজতে। রাস্তায় সকলের কাছে সুখের সন্ধান করে। মায়ের কণ্ঠে গর্বের সুর। চার বছরের শাহিদার আসল কৌতূহল, কেন তাকে রোজ একই জামা পরতে হচ্ছে? মা সুদীপ্তা চক্রবর্তী জুতসই জবাব দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিন ধরে চার বছরের খুদেটিকে নিয়ে রাস্তাঘাটে ক্যান্ডিড শুটিং চালিয়েছেন সুমন। শাহিদা নিজের মতো অবাধ গতিতে… সঙ্গে গো-প্রো নিয়ে ছবির টিম। ”আমার কোনও স্ক্রিপ্ট নেই। র্যান্ডম শুট হচ্ছে। শাহিদা নিজের মতো বিহেভ করছে। এ ভাবে বাংলা ছবিতে শুট হয় কি না জানি না,” বক্তব্য সুমনের। ফিচার ফিল্ম হলেও এই ছবির দৈর্ঘ্য ৭৫ মিনিট।