একমেবাদ্বিতীয়ম- ‘রেড মার্কারি’-র খোঁজে সাগরদ্বীপে পাড়ি দেবে বিমল ও কুমার সঙ্গে ডাক্তার রুবি চট্টোপাধ্যায়। এই ত্রয়ীর রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার দেখা যাবে এবার। আগামী ৬ ডিসেম্বর সাগরদ্বীপের এই রহস্যের উন্মোচন ঘটবে সিনেমা হলের পর্দায়। পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের ‘যকের ধন’ টিমের এবারের লক্ষ্য ‘সাগরদ্বীপে যকের ধন’। কয়েকমাস আগেই সামনে এসছিল এই ছবির অভিনব থ্রিডি পোস্টার এবং টিজার। আর তারপর থেকেই সিনেমাপ্রেমীদের উত্তেজনার পারদ চড়েছে। সেই পারদ আরও চড়ল ‘সাগরদ্বীপে যকের ধন’ ছবির ট্রেলার মুক্তির পরেই। ‘হেমলক সোসাইটি’ এবং ‘হাইওয়ে’-র পর ফের পর্দায় এক সঙ্গে দেখা যাবে পরমব্রত ও কোয়েলের জুটিকে। তাঁদের দেখা যাবে বিমল ও রুবির চরিত্রে। কুমারের ভূমিকায় থাকছে গৌরব চক্রবর্তী। ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে দেখা যাবে রজতাভ দত্তকে। শুটিং হয়েছে সিকিম, থাইল্যান্ড এবং কলকাতায়। থাইল্যান্ডের এমন কিছু জায়গায় শুটিং হয়েছে যেখানে এর আগে কোনও বাংলা ছবির শুটিং হয়নি। অতএব, বাঙালি দর্শকরা যে একটা উপরি পাওনা পেতেই পারেন এক্ষেত্রে, তার ইঙ্গিত মিলল ট্রেলারেই। ট্রেলারে পাওয়া গেল গলের কিছুটা আভাস। রুবি এবং বিমল দু’জনের লক্ষ্য ‘রেড মার্কারি’। রুবির একমাত্র লক্ষ্য সেই রেড মার্কারি জোগাড় করে এক বাচ্চা মেয়েকে বাঁচানো। অন্যদিকে, বিশ্বে তরল খনিজ সম্পদের আকাল আসতে চলেছে বলে বিমল রেড মার্কারির সন্ধানে পৌঁছে গিয়েছেন সাগর পাড়ের ভান্ডারে। সেই যাত্রাতেই এক মাফিয়া দলের খপ্পরে পড়তে হয় রুবি-বিমল এবং কুমারকে। ছবির গল্পের পরতে পরতে রয়েছে রহস্য এবং রোমাঞ্চ। একটি ধাঁধায় রয়েছে সমাধানের পথ। সেই ধাঁধাকে স্মরণ করেই রহস্যভেদে এগিয়েছে বিমল, কুমার এবং রুবি। চলার পথে ঘাত-প্রতিঘাত, দূরদেশে বিপদের হাতছানি। তবুও লক্ষ্যে অবিচল। রহস্য সন্ধানে অভিযাত্রীরা ডুব দিয়েছে সমুদ্রের নীচে। দুঃসাহসিক এই রহস্যোদঘাটনে কী করে সফল হবে ‘সাগরদ্বীপে যকের ধন’-এর বিমল-রুবি ও কুমার? তারা কী পারবে ‘রেড মার্কারি’ রহস্যোদঘাটনে করতে? বাকি গল্প জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ছবি মুক্তি পাওয়া অবধি।