আইনীভাবে বিবাহ-বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী কঙ্কনা সেনশর্মা এবং অভিনেতা রণবীর শোরে। ২০১০ সালে অপর্ণা সেনের মেয়ে কঙ্কণার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন রণবীর। বছর ঘুরতেই তাঁদের জীবনে আসে পুত্রসন্তান হারুন। বৈবাহিক জীবনের শুরুর দিকে দাম্পত্য কলহ থাকলেও সে বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও দিনই মুখ খোলেননি দুই পক্ষ। তবে, তাঁদের তিক্ততার কথা প্রকাশ্যে আসে বছর পাঁচেক আগে। ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘তিতলি’। সেই ছবিরই ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে গিয়ে কঙ্কণার সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন রণবীর শোরে। বিয়ে ভাঙার জন্য অবশ্য রণবীর নিজেকেই দায়ী করেছিলেন সেসময়ে। কারণ, ২০১৫ সালে ‘তিতলি’ মুক্তির আগে জুন মাস থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেন রণবীর এবং কঙ্কণা। রণবীর জানান, ‘হ্যাঁ, আমরা দুজনে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি এখনও বিবাহ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বাস করি। এর জন্য আমি দায়ী। যদিও আলাদা হওয়ার পরেও আমি এবং কঙ্কনা একে অপরের বন্ধু হয়ে থাকব।’ পাঁচ বছর আলাদা থাকার পর অবশেষে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করলেন তারকাজুটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্কনা জানান, ‘রণবীর এবং আমি যৌথভাবেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু, আমরা সারাজীবন একে অপরের বন্ধু হয়ে থাকব এবং সন্তানের দায়িত্ব সমানভাবে পালন করব। আশা করছি, আপনারা আমাদের পূর্ণ সমর্থন করবেন। ধন্যবাদ।’ ইতিমধ্যেই কঙ্কনা এবং রণবীর বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই আইনীভাবে তাঁরা আলাদা হয়ে যাবেন। বিচ্ছেদ হলেও সমান দায়িত্ব নিয়ে ছেলে হারুনকে বড় করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কঙ্কণা-রণবীর। হারুনের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সব দায়িত্বই দু’জনের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন তাঁরা।
Ranvir and I have mutually decided to separate, but continue to be friends and co-parent our son. Will appreciate your support. Thank you.
— Konkona Sensharma (@konkonas) September 14, 2015