করোনায় আক্রান্ত বেবি ডল-খ্যাত গায়িকা কনিকা কাপুর

করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে আগামী রবিবার ১৪ ঘন্টার জন্য জনতা কার্ফুর ঢাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারতে ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। হলিউডের পর এবার প্রত্যক্ষভাবে বলিউডে পড়ল করোনার থাবা। প্রথম বলিউড সেলিব্রিটি হিসাবে কোভিড -১৯-এ আক্রান্ত হলেন জনপ্রিয় গায়িকা কনিকা কপুর। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে কনিকা জানিয়েছেন, ‘গত চার দিন ধরে আমার জ্বরের লক্ষণ রয়েছে। এর পর আমি নিজেই পরীক্ষা করাতে যাই। সেখানে কোভিড -১৯ (Covid-19) ধরা পড়ে। আমি এবং আমার পরিবার এখন সম্পূর্ণ সতর্কতার মধ্যে রয়েছি এবং কী ভাবে এগিয়ে যেতে হবে সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করছি। আমি এই সময়ের মধ্যে যাঁদের সঙ্গে দেখা করেছি, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের কাজ চলছে ‘। ১০ দিন আগে লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেও মাত্র দিন চারেক আগে থেকে তাঁর সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।  নিজের অনুরাগীদের জন্য সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন ৪১ বছরের এই বেবি ডল-খ্যাত গায়িকা। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই পর্যায়ে আমি আপনাদের সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানাতে চাই এবং যদি আপনার মধ্যে এ ধরনের কোনো লক্ষণ থাকে, তবে যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা করানো উচিত’। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি একটা সাধারণ এবং হালকা জ্বরের মতো অসুস্থতা অনুভব করছিলাম। তবে ব্যাপারটাকে ফেলে না রেখে তত্‍ক্ষণাত্‍ পরীক্ষা করাই। এই মুহূর্তে বুদ্ধিমান নাগরিকের মতো আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছু চিন্তা করা দরকার। বিশেষজ্ঞ এবং রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ শুনলেই আমরা আতঙ্ক এড়াতে পারি। সবার সুস্বাস্থ্যের কামনা করছি। জয় হিন্দ! যত্ন নিন’। বর্তমানে কনিকা লখনউয়ে আছেন বলে সূত্রের খবর। অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে যে নিজের ট্র্যাভেল হিস্টোরি এর আগে গোপন রেখেছিলেন তিনি। ইউকে থেকে ফিরে একটি পার্টিতেও গিয়েছিলেন বলে খবর। যার ফলে  তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করার জায়গায় এখন তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সাংবাদিক বরখা দত্ত সম্প্রতি ট্যুইট করে কণিকা কাপুর বিরুদ্ধে তিনি লেখেন, “এই ধরণের ক্রিমিনাল নেগ্লিজেন্স সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন মানসিকতার পরিচয় দেয়। লন্ডন থেকে ফেরার পর নিজেকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখার কথা ছিল নিজেকে। তা না করে আপনি পার্টি করে এলেন এবং এক অনুষ্ঠানেও উপস্থাপনা করলেন। এর কারণে হাজারও মানুষের প্রাণ বিপদে ফেললেন আপনি। এর থেকে এটাই পরিষ্কার বোঝা যায় যে শিক্ষাও মানুষকে এই ধরণের পরিস্থিতিতে সাহায্য করতে পারে না।”বরখার পাশাপাশি বহু নেটিজেনরাই কণিকার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কণিকা সুস্থ হলেই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার কথাও দাবি করেছেন অসংখ্য মানুষ। তারকা হয়ে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি গায়িকা।

https://www.instagram.com/p/B98tXqnFqE2/?utm_source=ig_web_copy_link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *