করোনা আক্রমণ, সিল করা হল সাক্ষী তনওয়ারের আবাসন

জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাক্ষী তনওয়ারের মুম্বইয়ের মালাডের আবাসন সিল করে দেওয়া হল। নেপথ্যে করোনা সংক্রমণ। জানা যাচ্ছে, ওই আবাসনে স্পেন ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ পাওয়ার পরই বিএমসি-র তরফে ওই আবাসন সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যে ব্যক্তির শরীরে করোনার সন্ধান মিলেছে, তিনি গত মাসে স্পেন থেকে ফিরেছিলেন। বিমানবন্দরে যখন তাঁর স্ক্রিনিং করা হয়েছিল, তাঁর শরীরে করোনার সন্ধান মেলেনি। তা সত্ত্বে তাঁকে ১৫ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হয়। ১২ দিনের মাথায় ওই ব্যক্তির শরীরের করোনা উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সোয়াব পরীক্ষা করা হয়। তখনই তাঁর দেহে করোনার সন্ধান মেলে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর তিনি যে বিল্ডিংটায় থাকতেন, সেটি সিল করে দেওয়া হয়। এই ১২ দিন ওই ব্যক্তি যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদেরও শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু সাবধানতা অবলম্বন করতে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে  বিল্ডিংটা সিল করা হয়েছে বর্তমানে। প্রসঙ্গত, সাক্ষী তনওয়ারের আবাসনেই থাকেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখাণ্ডে এবং খ্যাতনামা টেলি-অভিনেতা শিবিন নারাং। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষী নিজে জানিয়েছেন যে তিনি আপাতত ওই সিল করে দেওয়া আবাসনেই গৃহবন্দি রয়েছেন। অন্যদিকে ওই বহুতল অ্যাপার্টমেন্টটিতেই নাতাশা শর্মা, আদিত্য রেডজি, আশিতা ধাওয়ান, শৈলেশ গুলাবানি ও মিশকাত বর্মার মতো একাধিক টেলি তারকারা থাকেন। যদিও তাঁদের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কোনওরকন ঝুঁকি নিতে চায়নি মুম্বই প্রসাশন। জনপ্রিয় টেলিতারকা শিবিন নারাং এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে একজন মহিলা কর্মী এসে সবার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে গিয়েছেন যে, সম্প্রতি কারও কোনও বিদেশ ভ্রমণের তথ্য রয়েছে কিনা! জরুরি পরিষেবার জন্য একজন চিকিৎসকের ফোন নম্বরও দিয়ে গিয়েছেন। দিনরাত নিরাপত্তারক্ষীদের কড়া পাহাড়া আবাসনের চারদিকে। বাড়ির দরজায় চাল-ডাল, সবজিপাতির মতো অত্যাবশকীয় জিনিসপত্র নিতে যাওয়া ছাড়া বাইরে বেরনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আবাসনের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়াও মানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *