গতকাল ১০ জানুয়ারি বলিউডের মহারণে নেমেছে অজয় দেবগণ ও দীপিকা পাড়ুকোন। একই দিনে রিলিজ হয়েছিল হেভিওয়েট দুটো হিন্দি ছবি। অজয় দেবগণের ১০০তম ছবি ‘তানাজি-দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’ আর দীপিকা পাড়ুকোনের ‘ছপক’। পর্দায় দুই তারকার অভিনয়ই বারবার মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। বক্স অফিসেও অন্যান্য সময় সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিয়েছে দুই অভিনেতার ছবি। তবে এবার বক্স অফিসের হেভিওয়েট লড়াইয়ে ‘ছপক’-কে পিছনে ফেলেছে ‘তানাজি’। প্রথম দিনে বক্স অফিসে কিন্তু তানাজির দিকেই পাল্লা ভারী রইল। প্রথম দিনে ‘ছপক’-এর বক্স অফিস কালেকশন প্রায় ৫ কোটি টাকা। আর ‘তানাজি’-র বক্স অফিস কালেকশন তার থেকে প্রায় তিনগুণ বেশি ১৬ কোটি। এই দুই ছবির মধ্যে প্রায় ১১ কোটি টাকার ফারাক রয়েছে প্রথমদিনের হল কলেকশনে। শনিবার টুইট করে তেমনটাই জানিয়েছেন, ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ। তিনি লিখেছেন, “প্রথম দিনে অর্ডিনারি ‘ছপক’ । কিছু কিছু হাই-এন্ড মাল্টিপ্লেক্সে ভালো উপার্জন করেছে ছবিটি । তবে বেশিরভাগ শহরে মার্কের থেকে কম উপার্জন করেছে ছবিটি । শনিবার ও রবিবারের উপার্জনটা খুব ক্রুশিয়াল একটা ভদ্রস্থ উইকেন্ড কালেকশনের জন্য । শুক্রবার ৪.৭৭ কোটি টাকা উপার্জন ।” তানাজি দেখে চলচ্চিত্র সমালোচক তরণ আদর্শ আগেই রিভিউ করে ট্যুইটও করেন। তিনি লেখেন, “দুরন্ত অভিজ্ঞতা তানাজি। রোমহর্ষক ক্লাইম্যাক্স। অসামান্য পরিচালনা। সুপার ফর্মে অজয়-কাজল-সইফ। ২০২০-র প্রথম ১০০ কোটির ছবি তানাজি।’’ ‘ছপক’ ছবিতে অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের চরিত্রে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। মেঘনা গুলজার পরিচালিত ছপক ছবিতে দীপিকার সঙ্গে অভিনয় করেছেন বিক্রান্ত মাসে।দর্শক ও সমালোচকদের থেকে এই ছবি বেশ ভালো রিভিউ পেয়েছে। এখনও অবধি যারা ছবিটি দেখেছেন, তাদের প্রত্যেকেরই মতে ছবিটি এক দৃঢ় বক্তব্য পেশ করেছে জোরদার স্ক্রিপ্ট ও স্টোরিটেলিংয়ের মোড়কে। ছবির মূল সম্পদ অবশ্যই দীপিকা ও বিক্রান্তের অভিনয়, দাবী দর্শকের। দীপিকা এই ছবিতে শুধুমাত্র অভিনেত্রী নন, অন্যতম প্রযোজকও বটে । এটিই তাঁর প্রথম প্রযোজনা । ফলে এটি অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি। অন্যদিকে বিস্মৃত মারাঠা যোদ্ধা তানাজির জীবন কাহিনি পৌঁছে দিয়েছে দেশপ্রেমের বার্তা। তানাজি ছবিটি পরিচালনা করে প্রশংসিত হচ্ছেন ওম রাউত। এতে অজয় দেবগনের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তার স্ত্রী কাজল ও সাইফ আলি খান। দর্শকের অকুণ্ঠ ভালোবাসা পাচ্ছে কাজল-অজয়-সাইফের দুরন্ত অভিনয়। এই ছবি সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছে মহারাষ্ট্র, উত্তর এবং পূর্ব ভারতে।রাজস্থানেও বক্স অফিস কালেকশন বেশ ভালো। ছপক মুক্তি পেয়েছে ১২০০টি স্ক্রিনে। অন্যদিকে তানাজির জন্য বরাদ্দ স্ক্রিন ২৭০০। মানে দ্বিগুণেরও বেশি। যত বেশি স্ক্রিন তত বেশি লোক। যত বেশি লোক তত বেশি টিকিট বিক্রি আর বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভ। তাই হিসেব কষলে দেখা যাবে সেই হিসেবে ‘ছপক’ কিন্তু খুব একটা পিছিয়ে নেই তানাজির থেকে। অন্যদিকে তানাজি বানাতে খরচ হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। ছপকের বাজেট ৩৫ কোটি। প্রোমোশন নিয়ে অতিরিক্ত আরও ১০ কোটি।
#OneWordReview…#Tanhaji: SUPERB.
Rating: ⭐️⭐️⭐️⭐️
Drama, emotions, conflict, action, VFX, #Tanhaji is an enthralling experience… Electrifying climax… Top notch direction… #Ajay, #Kajol, #Saif in super form… Get ready for 2020’s first ₹ 💯cr+ film. #TanhajiReview pic.twitter.com/N9TwWsWazd— taran adarsh (@taran_adarsh) January 9, 2020
#Chhapaak is ordinary on Day 1… Collects well at select high-end multiplexes… Biz at Tier-2 and 3 cities and also mass circuits is way below the mark… Growth on Day 2 and 3 crucial for a respectable weekend total… Fri ₹ 4.77 cr. #India biz.
— taran adarsh (@taran_adarsh) January 11, 2020