গত পাঁচদিন হোম কোয়ারানটিনে রয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই কাকাবাবুর শ্যুটিং সেরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে যাবতীয় পরীক্ষা সেরে ইমিগ্রেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়ে সোজা চলে আসেন বাড়িতে। ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকেন। দুপুরে ফয়েলে খাবার আসে। ডিসপোজেবল প্লেটে খাবার খাচ্ছেন। তাঁর গাড়ির চালক থেকে বাড়ির কাজে সাহায্যকারী আসছে না কেউই। অন্যদিকে, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকার লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে। এই অবস্থায় ফেসবুক লাইভ করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন পরিচালক। তিনি বলেন, ‘প্লিজ প্যানিক করুন। ভয় না দেখালে কিছুতেই মানুষ সচেতন হবে না। ভুয়ো সংবাদ জেনেও স্রেফ মানুষ যাতে ভয় পান সেই উদ্দেশ্য নিয়েই রাশিয়ার রাস্তায় সিংহ ছেড়ে দেওয়ার খবর তিনি শেয়ার করেন। জানান এই মুহূর্তে ইতালি, ইরানের পরিস্থিতিও। ভারতবর্ষের চিকিৎসা ব্যবস্থার কথাও সবিস্তারে উল্লেখ করেন। হাত জোড় করে সকলকে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেন’। করোনায় শ্বাসকষ্ট অন্যতম উপসর্গ। চাপ পড়ছে ফুসফুসেও। অতএব যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের এটা সেরা সুযোগ। ‘ধূমপান ছেড়ে দিন। এতে নিজেও বাঁচবেন, অপরকেও বাঁচতে সাহায্য করবেন। সত্যজিৎ রায়ের কথা ধার করে বলেন, মুন্ডু গেলে খাব কি! আর তাই বেঁচে থাকাটা এখন খুব জরুরি। বেঁচে থাকলে তবেই না আবার সিনেমা বানানো যাবে’। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বেড়ে চলেছে,বাড়ছে মৃত্যুর হারও। তাতে খুবই উদ্বিগ্ন সৃজিত। তার চেয়েও বেশি উদ্বিগ্ন মানুষের অবুঝপনা দেখে। লকডাউন হওয়া সত্ত্বেও চায়ের দোকানে আড্ডা বা পাড়ার মোড়ে ক্রিকেট বাদ থাকছে না কিছুই। আনেন মেরি কমের প্রসঙ্গও। কিছুদিন আগে ইতালি থেকে ফিরে হোম কোয়ারানটিনে না থেকে দিল্লিতে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মেরি। এছাড়াও হামলে পড়ে দোকানের সব খাবার যাতে কেউ একা কিনে না নেন সেই অনুরোধও রাখেন।