সালটা ১৯১৯। ঠিক নভেম্বর মাসেই মুক্তি পেয়েছিল প্রথম বাংলা ছবি ‘বিল্বমঙ্গল’। আর এবছর নভেম্বরে বাংলা সিনেমা পা রেখেছে শতবর্ষে। যদিও সংলাপহীন নির্বাক যুগের সিনেমা, তবুও ‘বিল্বমঙ্গল’কেই প্রথম বাংলা ছবি হিসেবে গন্য করা হয়। সেই বর্ষ পূর্তি উপলক্ষেই অরিন্দম শীল ঘোষণা করেছিলেন তাঁর নয়া ছবি ‘মায়াকুমারী’র। গত মাসেই পরিচয় করিয়েছেন তাঁর ‘মায়াকুমারী’র সঙ্গে। চলতি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হবে ছবির শুটিং। চারের দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি হচ্ছে ছবি। ‘মায়াকুমারী’ আসলে সে সময়কার একজন ডাকসাইটে সুন্দরী অভিনেত্রী। যার জীবনকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে অরিন্দমের ছবির গল্প। ‘মায়াকুমারী’র দাম্পত্যজীবন, তার জীবনে নতুন প্রেম, তৎকালীন সমাজের চোখে কেমন ছিলেন অভিনেত্রীরা? এসব প্লটের ভিত্তিতেই এগিয়েছে ‘মায়াকুমারী’র গল্প। মায়াকুমারীর স্বামী শীতল ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, ডাকসাইটে এই অভিনেত্রী প্রেমে জড়িয়েছেন নায়ক-পরিচালক কানন কুমারের সঙ্গে। মায়াকুমারীর সঙ্গে স্বামী শীতলের সম্পর্কের জটিলতার সূত্রপাত সেখান থেকেই। মায়াকুমারীর চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, তাঁর স্বামীর চরিত্রে থাকছেন রজতাভ দত্ত এবং আবীরকে দেখা যাবে কানন কুমারের চরিত্রে। সেই ‘মায়াকুমারী’কে নিয়ে এক নবীন পরিচালক সিনেমা বানাচ্ছেন। আর সেই পরিচালকের সিনেমা বানানোর গল্পই সিনেপর্দায় তুলে ধরবেন অরিন্দম শীল। সিনেমার মধ্যে সিনেমা, বিষয় খানিক ইন্টারেস্টিং! ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, আবীর চট্টোপাধ্যায় এবং রজতাভ দত্ত-র পর পরিচালকের এই ‘ম্যাগনাম অপাস’ টিমেই নবসংযোজন টলিউডের দুই নতুন প্রজন্মের তারকা- সৌরসেনী মৈত্র এবং অর্ণ মুখোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সৌরসেনীকে দেখা যাবে সহকারী এক পরিচালকের ভূমিকায়। অন্যদিকে, অর্ণ থাকছেন এক কস্টিউম ডিজাইনারের চরিত্রে। যেহেতু পিরিওডিক ছবি, সেহেতু কস্টিউম খুব গুরুত্বপূর্ণ।