করোনা মো কাবিলায় অভিনব উদ্যোগ নিলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এবার হোয়াটসঅ্যাপ করলেই মিলবে ওষুধ। প্রেসক্রিপশন পাঠালেই প্রয়োজনমতো ওষুধ কিনে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন সাংসদ। ইতিমধ্যেই করোনার এই লড়াইয়ে নিজের এলাকায় একটি টিম গঠন করেছেন মিমি। প্রতি মুহূর্তে এলাকাবাসীর সমস্ত সুবিধা-অসুবিধার দিকেও নজর রাখছেন তিনি। নিজের এলাকাতে স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ থেকে শুরু করে পুরো পরিস্থিতি ঘরে বসেই সামলাচ্ছেন সাংসদ অভিনেত্রী। আবার কখনও অসহায় মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। তাঁর এলাকার দারিদ্রসীমার নিচে থাকা পরিবারগুলোকে যেন রাতে অভুক্ত থেকে ঘুমোতে যেতে না হয় সে ব্যবস্থাও করেছেন এই তারকা সাংসদ। শুধু তাই নয় নিজে পশুপ্রেমী হওয়ায়, পথ কুকুররাও যাতে এই লকডাউনের বাজারে একটু খেতে পায়, নিজে কোয়ারেন্টাইনে থেকে সেদিকেও কড়া নজর রাখছেন মিমি। খাবারের পর এবার ওষুধের দায়িত্ব নিলেন তিনি। বিশেষত যাদের বাড়িতে বয়স্ক মা, বাবা রয়েছেন তাদের কথা চিন্তা করেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন মিমি। লকডাউন পরিস্থিতিতে তার লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের যেন প্রয়োজনীয় ওষুধ পেতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই এই পরিষেবা চালু করলেন তিনি। হোয়াটসঅ্যাপে প্রেসক্রিপশন পাঠালেই প্রয়োজনমতো ওষুধ কিনে বাড়ি পৌঁছে দেবে মিমির টিম। মিমি তাঁর ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে শেয়ার করেছেন একটি বিজ্ঞপ্তি । সেখানে একটি নম্বর দেওয়া রয়েছে। নম্বরটিতে প্রেস্ক্রিপশন পাঠিয়ে দিলে এক সাংসদ প্রতিনিধি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেবে ওষুধ। এই পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বলেও উল্লেখ করা সেই বিজ্ঞপ্তিতে। পাটুলি, গড়িয়া, সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর সংলগ্ন এলাকায় মিলবে এই পরিষেবা। মিমির এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবীরাও যোগাযোগ করতে পারেন সেই একই নম্বরে, এমনটাও উল্লেখ করা সেখানে। সেলফ আইসোলেশনে থাকাকালীনও তাঁর এই অবদান নজর কেড়েছে সকলের। কিছুদিন আগেই করোনা মোকাবিলায় ব্যক্তিগত ভাবে ১ লক্ষ টাকা অনুদান করেছেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি। এবং নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। এই সঙ্গে করোনা নিয়ে সচেতনতার বার্তাও দিয়ে যাচ্ছেন মিমি।