জয়শ্রী, ৪ ফেব্রুয়ারি: অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত টলিউড ইণ্ডাস্ট্রির বিখ্যাত মুখ, শুধু তাই নয় তিনি একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে করেছেন বাংলাদেশী ও হিন্দি চলচ্চিত্রেও। বাণিজ্যিক ও শৈল্পিক – উভয় ধারার সিনেমাতে তাঁর সুদক্ষ অভিনয় তাঁকে এনে দিয়েছে একাধিক পুরস্কার।অভিনয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ ও লেখালিখির সাথেও জড়িত তিনি।‘রাঙা বউ’, ‘আমি সেই মেয়ে’, ‘চেয়ারম্যান’ –র মতো বাংলাদেশী ছবির পর এখন তিনি ব্যস্ত নতুন ছবির শ্যুটিং-এ, আসতে চলেছে তাঁর দুটি ছবি ‘গাংচিল’ এবং ‘জ্যাম’। ‘গাঙচিল’-এ ফিরদৌসের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করছেন ঋতুপর্ণা।‘দত্তা’ মুভিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল এই জুটির।তবে তখন ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা হওয়ায় সেই ছবি করে উঠতে পারেননি নায়ক।এবার নিজের দেশেই ঋতুপর্ণার সঙ্গে অভিনয় করছেন অভিনেতা। বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও পরিবহণ মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘গাঙচিল’। ছবিটি নির্মাণ করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল। এই ছবির মহরৎ অনুষ্ঠিত হয় ১৯শে সেপ্টেম্বর,২০১৮ এবং ৬ই ফেব্রুয়ারি,২০১৯ তে নোয়াখালিতে শুরু হয় শ্যুটিং এবং ফেব্রুয়ারি,২০২০ –এ শ্যুটিং শেষ হওয়ার কথা ছিল।তবে ফেব্রুয়ারিতে কিছুজন শিল্পী অসুস্থ হয়ে পড়ায় এবং মার্চে দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার কারনে বন্ধ হয়ে যায় শ্যুটিং।এবার বিরতি কাটিয়ে শুরু হচ্ছে ছবির শ্যুটিং –র কাজ।ফিরদৌস এই ছবিতে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে এবং এন.জিও কর্মীর চরিত্রে অভিনয় করছেন পূর্ণিমা।ঋতুপর্ণার চরিত্রের নাম বিজলি। নির্মাতা জানিয়েছেন, ১৭ই অক্টোবর থেকে সিনেমার শ্যুটিং শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশান(বি.এফ.ডি.সি) তে।ছবিটির টানা শ্যুটিং চলবে অক্টোবর,২০২২ অবধি। ‘জ্যাম’ নামে অন্য একটি বাংলাদেশি ছবিতেও অভিনয় করছেন নায়িকা। ছবিটি নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল।এই ছবির কাস্টিং –এ রয়েছেন আরফিন শুভ, পূর্ণিমা, ফিরদৌজ এবং ঋতুপর্ণা প্রমুখরা।আরফিন শুভর বিপরীতে কাজ করতে চলেছেন ঋতুপর্ণা।‘আহারে মন’ ছবিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে এই জুটিকে। শুভ-ঋতুপর্ণার জুটিকে বেশ পছন্দ করেছিলেন দর্শক।‘আহারে মন’-এ অসম বয়সের প্রেম দেখানো হয়েছিল।‘জ্যাম’-এ তাঁর চরিত্র নিয়ে এখনই কোনও কথা বলতে চাইছেন না নায়িকা।তবে নায়িকা জানিয়েছেন, ‘জ্যাম একটি ছবি যেটা আমার হৃদয়ের কাছাকাছি এবং মান্নাভাইয়ের প্রোডাকশনের ছবি। মান্নাভাইয়ের প্রচুর কাজ আমি করেছি এবং অনেক সুপারহিট ছবি আমাদের একসাথে আছে।আজ ওনার প্রোডাকশনটা ভালো হোক এবং ওনার স্বপ্ন ছিল প্রোডাকশন খুব ভালো ভালো কাজ করুক।শেলী আপা অনেকদিন ধরেই এই ছবি নিয়ে ভালো কাজ করার কথা ভাবছিলেন আর এই ছবিটা খুবই প্রাসঙ্গিক।জ্যাম সংক্রান্ত কতরকম, কি কি সমস্যা হতে পারে সেই নিয়ে বিভিন্ন চরিত্র’। সম্প্রতি ‘একটি সিনেমার গল্প’ নামে একটি বাংলাদেশি ছবির জন্য পাঁচটি বাংলাদেশের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন নায়িকা।কলকাতার টলিপাড়াতেও এক গুচ্ছ ছবি রয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর।দুই বাংলাতেই বহুবছর ধরে সফল ভাবে কাজ করছেন অভিনেত্রী এবং তাঁর ফ্যান সংখ্যা বেশ ভালোই।এই ব্যস্ত অভিনেত্রীর ছবির মুক্তির জন্য মুখিয়ে থাকে দর্শক।