হুসেন জাইদির বিখ্যাত উপন্যাস ‘মাফিয়া কুইন অফ মুম্বই’ অবলম্বনে ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ ছবিটি বানিয়েছেন সঞ্জয়লীলা বনশালি। আজ ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র নতুন পোস্টার প্রকাশ করে ছবি মুক্তির কথা ঘোষণা করেছে বনশালির প্রযোজনা সংস্থা। আগামী ৩০ জুলাই মুক্তি পাবে সঞ্জয়লীলা বনশালি পরিচালিত এই ছবি। গাঙ্গুবাই-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট। ছবিতে আলিয়া ছাড়াও দেখা যাবে অজয় দেবগণকে। মুক্তির দিন ঘোষণার পর এবার প্রকাশ্যে এল ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’-র টিজার। কামাথিপুরাকে কখনও অমাবস্যার অন্ধকার ঢেকে দিতে পারে না। কামাথিপুরায় থাকেন গাঙ্গুবাই। এমনই মন্তব্য দিয়ে টিজার শুরু হয় ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ির’। যেখানে আলিয়া ভাটকে একেবারে অন্যরূপে দেখা যায়। গাঙ্গুবাইতে আলিয়াকে দেখে চমকে যাবেন দর্শকরা। গাঙ্গুবাঈ ছিলেন গুজরাটের কাঠিওয়ারের বাসিন্দা। জানা যায়, ছোট বয়সেই জোর করে গাঙ্গুবাঈকে দেহ ব্যবসায় নামনো হয়। পরবর্তীকালে মুম্বইয়ের কামতাপুর এলাকায় নিজের কোঠা চালাতেন। তবে সেসময় দাঁড়িয়ে গাঙ্গুবাঈ মুম্বইয়ের যৌন কর্মী ও অনাথ শিশুদের জন্য বেশকিছু কাজ করেন। ছেলেবেলায় গাঙ্গুবাঈ অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তবে মাত্র ১৬ বছর বয়সে গাঙ্গুবাঈ তাঁর বাবার হিসেবরক্ষকের প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করেন মুম্বইয়ে চলে আসেন। ওই ব্যক্তিই তাঁকে মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন বলে জানা যায়। জানা যায় মাফিয়া ডন করিম লালার গ্যাঙের এক সদস্য গাঙ্গুবাঈকে ধর্ষণ করে, যার বিচার চেয়ে গাঙ্গুবাঈ করিমলালার সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁকে রাখি বেঁধে ভাই বানিয়ে নেন। আর এর পরই কামতাপুর এলাকা গাঙ্গুবাঈয়ের রাজত্ব শুরু হয়। তবে শোনা যায় কোনও মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে গাঙ্গুবাঈ তাঁকে দেহ ব্যবসায় রাখতেন না।