দাদু উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনয় করবেন নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। দুই প্রজন্মকে একসঙ্গে একই দৃশ্য়ে দেখবেন দর্শক। সৌজন্যে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। ছবির নাম ‘অতি উত্তম’। ছবিতে মহানায়কের ভূমিকায় থাকবেন উত্তম কুমার নিজেই। পরিচালকের কথায়, ‘অটোগ্রাফ’-র পর এটি উত্তম কুমারের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার্ঘ। তাঁর বিশ্বাস একটি ছবিতে উত্তম কুমারের উপস্থিতি করোনা ভয় কাটিয়ে দর্শককে আবার হলমুখো করবে।’ পরিচালক জানাচ্ছেন, তিনি এই ছবির প্রয়োজনে মহানায়কের ৭৭টি ছবি আবারও দেখেছেন। এটিই ছিল চিত্রনাট্য তৈরির প্রি প্রোডাকশন। তার মধ্যে থেকে ৫৪টি ছবি থেকে দৃশ্য নিয়ে এই ছবিটি বানানো হয়েছে। ছবিতে মহানায়কের হাঁটাচলা, অভিব্যক্তি সবই তাঁর পুরনো ছবি থেকে ফুটিয়ে তোলা হবে। বাংলা ছবিতে যা প্রথম। এই ছবিতে গৌরব চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও দেখা যাবে অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, লাবনী সরকার, শুভাশিস মুখোপাধ্যায় এবং নবাগতা রোশনি ভট্টাচার্যকে। ছবির সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে রয়েছেন সৌমিক হালদার। যিনি ব্যাক লাইট, কিংবা ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলের থেকে অঙ্ক করেছেন বেশি। মহানায়ককে লেন্সবন্দী রেখে কষেছেন বাকি ফ্রেমের অঙ্ক, যা সত্যিই অন্য পাওয়া।পরিচালকের মতে- ‘প্রচুর ভি এফ এক্সের কাজ, খুব নিঁখুত কাজ করতে হয়েছে তাঁকে যা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং এবং যা করার জন্য সাহস দরকার। কাজ করতে করতে বারবারই মনে হয়েছে পরিচালকের এতদিনে ছবি বানানো সার্থক হল। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ভিএফএক্সের মাধ্যমেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে চলেছেন তিনি। এই কনসেপ্টে আগে কখনও ছবি তৈরি হয়নি, মত সৃজিতের। উত্তম কুমারের দুই অনুরাগীর কথোপকথনকে ঘিরেই গল্প। প্রেম সফল না হওয়ায় হতাশ হয়ে যান এক অনুরাগী, আর সেখানেই এন্ট্রি ‘লাভগুরু’ উত্তম কুমারের। মহানায়কের সাহায্যে চেয়ে প্ল্যানচেটের মাধ্যমে উত্তম কুমারকে নিয়ে আসেন তাঁরা। মহানায়কও আসতে রাজি। তবে একটা শর্তে। রঙিন না, তিনি সাদা-কালো দুনিয়ার মানুষ হিসাবেই ফিরতে চান এবং ফিরবেনও। আর এভাবেই এগোবে ‘অতি উত্তম’-এর গল্প।