প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা ও কমেডিয়ান বিবেক। গত শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বিবেককে চেন্নাইয়ের এসআইএমএস হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। আপৎকালীন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয় অভিনেতার। অপারেশনের পর ইসিএমও সাপোর্টে ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শনিবার ভোর চারটে ৩৫ মিনিটে প্রয়াত হন বিবেক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবারই করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন অভিনেতা। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেখানেই টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানোর কাজে নিজেই টিকা নিয়েছিলেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। সকলকে করোনার টিকা নেওয়ার বার্তা দেন। পাশাপাশি করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। তারপর হঠাৎই তাঁর হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে সব মহলে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, বিবেকের অ্যাকিউট করোনারি সিনড্রোম এবং কার্ডিওজেনিক শক ছিল। হার্টের ভেসেলে ১০০ শতাংশ ব্লক পেয়েছেন চিকিৎসকেরা। এর সঙ্গে করোনার টিকার কোনও যোগ নেই বলেই জানানো হয়েছে। ১৯৮৭ সালে পরিচালক কে বালাচন্দ্রর হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে ডেবিউ করেছিলেন বিবেক। দক্ষিণী ছবিতে কমল হাসান, রজনীকান্তের মতো অভিনেতাদের সঙ্গেও কাজ করেছিলেন বিবেক। নিজের অভিনয়ের ছাপ রেখে গিয়েছেন তাঁর প্রতিটি কাজে। একজন অভিনেতার পাশাপাশি দক্ষ কমেডিয়ান হিসেবেও দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী-সহ জিতে নিয়েছেন ছোট বড় একাধিক পুরস্কার। কিন্তু ২০১৫ সালে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে নেমে আসে শোকের ছায়া। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাঁর ছেলে মারা যায়। সেই শোকের ছায়া তার পরিবার পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার আগেই চলে গেলেন বিবেক। তাঁর কাজের মাধ্যমেই দর্শকের মনে আজীবন থেকে যাবেন অভিনেতা। বিবেকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সিনে মহলে। তাঁর বহু অনুরাগী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ আর রহমান টুইট করেছেন, ‘তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে, এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি। দশকের পর দশক ধরে তুমি আমাদের বিনোদন দিয়েছে। তোমার কাজ আমাদের মধ্যে থেকে যাবে।’