সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা পত্র জমা দেওয়ার পরেই সমাজের এক বিশেষ কাজের দায়িত্ব নিলেন মিমি চক্রবর্তী। ‘নিক্ষয় মিত্র’ নামে একটি কর্মসূচি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে রাজ্যে যেখানে যে কোনও সাধারণ মানুষ বা সংস্থা ৬ মাস থেকে ৩ বছর সময় পর্যন্ত যক্ষ্মা রোগীদের ওষুধ চলাকালীন পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, এই কর্মসূচিতে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যক্ষ্মা রোগীকে দত্তক নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ২৫জন টিবি রোগীর ওষুধ চলাকালীন ৬-৭ মাসের যাবতীয় খাওয়াদাওয়ার খরচ বহন করছেন তিনি। ২০২২ সাল থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন। অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, মিমির এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু যক্ষ্মাতে মারা যান। ঘটনাটি দাগ কেটে যায় তাঁর মনে। তারপরই এই কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। মিমি এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি এটা ঘোষণা করতে পারি খুবই খুশি যে জাতীয় যক্ষ্মা নিরাময় অনুষ্ঠানে আমার রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ তিনটে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। রাজ্যের দুটি হেলথ সেন্টার, যার সঙ্গে আমি যুক্ত, সেখান থেকে কিছু রোগীকে দত্তক নিতে পেরে আমি খুবই গর্বিত। আমি সবাইকে অনুরোধ করতে চাইছি যে যাঁদের পক্ষে সম্ভব তাঁরা এগিয়ে আসুন আর এই উদ্যোগে সামিল হয়ে ভারতকে যক্ষ্মামুক্ত করুন। আপনাদের সকলের দয়ায় এবং আশীর্বাদে, আমি এই কাজটি করতে সক্ষম হয়েছি। আজ আমার সকল দত্তক রোগীরা সুস্থ আছে। আমি আগামীদিনেও এই প্রকল্প চালিয়ে যাব, আমার অনুরোধ আপনারাও সকলে এগিয়ে আসুন এই কাজে যোগ দিন, আমরা সকলে মিলে দেশটাকে “যক্ষ্মা মুক্ত” দেশ গড়ে তুলি’। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের যক্ষ্মা মুক্তি কর্মসূচিতে তিনটে পুরস্কার পেয়েছে বাংলা। জেলাস্তরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সবচেয়ে বেশি যক্ষ্মা রোগীর নাম নথিভুক্তকরণে দেশে দ্বিতীয়, সামগ্রিকভাবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে যক্ষ্মা নথিভুক্তকরণে দেশে তৃতীয় এবং বেসরকারি যক্ষ্মা রোগীদের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সুনির্দিষ্ট ওষুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে দেশে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা।