সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে পোস্ট করলেন সৃজিত

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়েছে জাফরাবাদে। অভিযোগ উঠছে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার পন্থা এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA। এর আগে শাহিনবাগে এই নিয়ে প্রতিবাদ হয়। এবার তারই প্রতিফলন জাফরাবাদে। একদিকে যেমন CAA’র বিরোধিতায় পথে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ, অন্যদিকে আইনের সমর্থনেও অনেকে সরব হয়েছে। আন্দোলন প্রতিহত করতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভের আঁচে কার্যত তপ্ত উত্তর পূর্ব দিল্লি। একাধিক জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রহার, পালটা প্রহারের মাঝ দিয়ে বইছে ধর্মের চোরা স্রোত। বুদ্ধিজীবীরা বারবার আবেদন করছেন, প্রতিবাদ হোক। কিন্তু তার ভাষা যেন হয় অহিংস। সেই বার্তাই আরও একবার তুলে ধরলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। পোস্ট করলেন, ‘পূরব পশ্চিম আসে তব সিংহাসন পাশে, প্রেমহার হয় গাঁথা…।’ ‘রাজকাহিনি’ যখন মুক্তি পেয়েছিল, ছবির শেষে একটি চমক রেখেছিলেন পরিচালক। রবি ঠাকুরের ‘ভারতভাগ্যবিধাতা’ গানের প্রথম অনুচ্ছেদ দেশের জাতীয় সংগীত। সৃজিত এই গানের বাকিটা ব্যবহার করেছিলেন ছবির শেষে। এবারও সম্প্রীতির বার্তা দিতে পরিচালক এই গানটিকেই বেছে নিলেন। গানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ টুইটারে পোস্ট করেছেন পরিচালক। সঙ্গে জাফরাবাদ হামলার ছবি। কয়েকজন লোক একজনকে বেধড়ক মারছে। আর মাঝরাস্তায় মাথায় হাত দিয়ে বসে নিজেকে প্রাণপণ বাঁচানোর চেষ্টা করছে ওই যুবক। দু’জনেই ভারতীয়। কিন্তু ফারাক বিস্তর। একটাই ছবি। কিন্তু সেই ছবি অনেক কথা বলে। ছবিতে যারা প্রহার করছে, তারাও ভারতীয়, যিনি প্রহৃত হচ্ছেন, তিনিও ভারতীয়। ছবিটি পোস্ট করে সৃজিতের বার্তা, ‘জনগণ ঐক্য বিধায়ক জয় হে, ভারতভাগ্যবিধাতা।’ এই দেশ সবার। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি, মুসলমান, খ্রিস্টান সবাই এখানে সমান। কিন্তু এখন সেই ‘উদার বাণী’ ভুলে গিয়েছে ভারতীয়রাই। তাই জাফরাবাদের ছবি তুলে সেই কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে পরিচালক। মনে করিয়েছেন, ‘জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *