প্রিয়াঙ্কার জীবনের স্মৃতিকথা ‘আনফিনিশড’ প্রকাশিত হওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সেটি বেস্টসেলার বইয়ের তকমাও পেয়েছে। মার্কিন মুলুকে এখন অন্যতম সেরা বই প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ‘আনফিনিশড’। বেশ কিছুদিন আগেই প্রিয়াঙ্কা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আত্মকথা বা স্মৃতিকথা লেখার জন্যে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার পক্ষপাতী তিনি মোটেই নন। তাই সেই মতো শুরু করেও দিয়েছিলেন লেখালিখির কাজ। ২০১৮ সালে এই বই প্রকাশের কথা শেয়ার করেছিলেন বলিউডের দেশি গার্ল প্রিয়াঙ্কা। তার পর হলিউড পাড়ি, বিয়ের মতো বড় বড় ঘটনা ঘটেছে নায়িকার জীবনে। শেষ পর্যন্ত নিজের স্মৃতিকথা শেষ করে প্রকাশ করলেন প্রিয়াঙ্কা। কয়েকদিন আগেই মাত্র দুটি ছবি দিয়ে তৈরি এই ভিডিয়ো একটি তাঁর ছোটবেলার অন্যটি ২০০০ সালে বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব জেতার সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের। ভিডিয়োটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন ‘আনফিনিশড’। প্রসঙ্গত, তাঁর আত্মজীবনীর নামই ‘আনফিনিশড’। এভাবেই তাঁর বইয়ের টিজার প্রকাশ করেছিলেন নায়িকা। পেঙ্গুইন র্যান্ডাম হাইজ ইন্ডিয়া থেকে প্রকাশিত এই আত্মকাহিনিতে ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা, গল্প এবং নিজের জীবনদর্শন নিয়ে কথা বলেছেন ৩৮ বছরের প্রিয়াঙ্কা। করোনাভাইরাসের কালবেলায় লকডাউনের বাড়তি সময় হয়তো এই লেখার কাজকে আরও তরান্বিতও করেছে। তাঁর বই বেস্টসেলার হওয়ার এই সুখবর প্রিয়াঙ্কা নিজেই শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফ্যানেদের এই বই নিশ্চয়ই ভালো লাগবে বলে আশাবাদী প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘১২ ঘণ্টায় বইটিকে এক নম্বরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমি আশা করি আপনাদের বইটি ভালো লাগবে।’ সারা বিশ্বে করোনা প্যানডেমিক থাবা বসানোর পর থেকে আমেরিকাতেই স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আর এই লকডাউনেই তাঁর বই লেখার কাজও শেষ করেছেন। এবার সারা দুনিয়ার সঙ্গে তাঁর জীবন কাহিনি শেয়ার করার জন্যে তৈরি প্রিয়াঙ্কা।