অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্ট তাদের সংগীত অনুষ্ঠান জমজমাট। জাস্টিন বিবারের ৮৩ কোটির পারফরম্যান্সের চর্চাকে ছাপিয়ে গেল শাহরুখের ওম শান্তি ওমের গানে আম্বানি পরিবারের নাচের ভিডিও সামনে আসতেই! আর এই গানের সঙ্গে পা মেলানোর সময় নিজের ভরতনাট্যম পারদর্শিতাও প্রদর্শন করেন মুকেশ-পত্নী। আম্বানি পরিবারের সঙ্গে তিনি যখন নাচছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত সকলেই তাঁর হয়ে গলা ফাটিয়েছেন। নাচের সময় গোলাপি রঙা লেহেঙ্গায় অপূর্ব দেখাচ্ছিল নীতাকে। আর মুকেশ বেছে নিয়েছিলেন একটি নেভি ব্লু কুর্তা-পাজামা এবং ম্যাচিং জ্যাকেট। জনপ্রিয় বলিউডি গানের তালে পা মিলিয়েছিলেন হবু বর-কনে অনন্ত এবং রাধিকাও। ছেলের বিয়ে বলে কথা বলিউড স্টাইলে নাচ থাকবে না তাও কী হয়! অনন্ত-রাধিকার সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় হাইলাইট হয়ে থাকল ‘দিওয়ানগি দিওয়ানগি’ গানে মুকেশ আম্বানির নাচ। তাঁর সঙ্গ দিলেন নীতা আম্বানি-সহ গোটা পরিবার। আম্বানিদের ফাটাফাটি নাচে জমে গেল এদিনের আসর। সাবেকি সাজে সঙ্গীতের জশনে ফ্যাশন গোলস দিলেন সকলেই। সঙ্গীতে হবু বউয়ের হাত ধরে গ্র্যান্ড এন্ট্রি নেন নীতা-মুকেশ পুত্র। এদিন কালোর উপর সোনালি এমব্রয়ডারি করা বন্ধগলায় পাওয়া গেল অনন্তকে। অন্যদিকে কাঁধখোলা ব্লাউজ আর ভারী কাজের লেহেঙ্গাতে দেখা মিলল রাধিকা মার্চেন্টের। সন্দীপ খোসলার কাস্টম মেড পোশাক ধরা দিলেন তাঁরা। হবু বর-কনের পাশাপাশি নীতা আম্বানির সাজও চোখ টানল। গোলাপি লেহেঙ্গা আর হীরের গয়নায় মেয়ে-বউমাকে ছাপিয়ে গেলেন নীতা। মুম্বইয়ের নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারে ‘সেলিব্রেশন অব হার্টস’ নামে এই সংগীত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভেন্যুতে প্রবেশ করেই অনন্ত এবং রাধিকা ফটোগ্রাফারদের জন্য পোজ দিলেন, তাঁদের মিষ্টি ব্যবহারে মুগ্ধ নেটপাড়া। পাপারাজ্জিদের উদ্দেশে অনন্তকে বলতে শোনা গেল, ‘আপনারা সবাই খেয়ে যাবেন কিন্তু’। ফোটোগ্রাফারদের আবদারে তাঁদের সঙ্গে ছবির জ্যও পোজ দেন আম্বানির ছেলে ও হবু বউমা।