আগামী ২ মার্চ পরিবার ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের উপস্থিতিতেই বিয়ে করতে চলেছেন অনুপম রায় ও প্রশ্মিতা পাল। তবে বিয়ের আগেই আবারও এক নতুন প্রেমের হাতছানি এল অনুপমের জীবনে। বাংলাদেশের এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর মোহনা জাহ্নবী অনুপমকে লিখলেন খোলা চিঠি। সেই প্রেমপত্রে তিনি লিখেছেন-
‘প্রিয় অনুপম,
এইতো এ মাসেই আমার কাছের কাউকে বলছিলাম, অনুপমের জীবনে নতুন কেউ এসেছে, আমি ওর পালস্ বুঝি। তোমার আধভেজা দুপুরের গল্প শুনলেই বুঝতে পারি, সেখানে কতটা ঝ ড় বাদল বয়ে গেছে; যেন তোমার ছায়া দেখলেই বলে দিতে পারি তুমি ঠিক কোন শার্টটা পরেছো, চুলে ব্যাকব্রাশ করেছ কিংবা হাসির আড়ালে ঘর বেঁধে আছে কিনা কোনো বে ও য়া রি শ মেঘ!
তোমাকে নিয়ে আমার ভাবনা হতো। পিয়া দিদির সাথে তোমার বি চ্ছে দে র পর একটা সময় চিন্তা হতো, তুমি কি আর বিয়ে করবে না, জীবন তো এখনো অনেকটা বাকি, মা-বাবার অবর্তমানে তোমার মতো ইন্ট্রোভার্ট মানুষটাকে কে দেখে রাখবে, কে আগলে রাখবে, তুমি যে খোলস ভাঙার মানুষ নও, তোমার খুব কষ্ট হবে একা বেঁচে থাকতে। এ ভাবনার সাময়িক অবসান হলো এবার। এ সম্পর্কটা তোমার দারুণভাবে টিকে যাক। বারবার ভাঙতে কারইবা ভালোলাগে বলো। প্রেমিকা হিসেবে তোমাকে চাওয়ার চেয়ে তোমার সুখ চাওয়াটা আমার কাছে সবসময়ই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। নতুন জীবনে নতুন মানুষকে নিয়ে খুব সুন্দর থেকো অনুপম।
প্রশ্মিতাকে বিয়ে না করলে যে আমার সাথেই তোমার বিয়ে হতো, ব্যপারটা এমন নয়। তবু কোথাও একটা সোনামুখি সূঁ চ এসে বিঁ ধ ছে। পাওয়া কাকে বলে অনুপম? কাগজ-কলমের সম্পর্ক, এক বিছানায় পাশাপাশি দুটো বালিশ, আলমারিতে শাড়ির ভাঁজে টাই মিশে যাওয়ার গল্প এসবই কি চূড়ান্ত পাওয়া? যদি তাই হয়, তাহলে আমি নাহয় তোমাকে সফলভাবেই হা রি য়ে ফেললাম। সবাই তো আর পাওয়ার সৌভাগ্য নিয়ে জন্মায় না।
অফিসে যখন দুপুরের খাবার খেতে বসেছি, তখনই সিনিয়র বিনোদন সাংবাদিক এর কাছ থেকে তোমার বিয়ের খবর পেলাম। বরফ জমা সমুদ্রের মতো অনুভূতি নিয়ে লাঞ্চ সেরে তোমার বিয়ের নিউজটা অনলাইনে তুলে দিলাম। কাল পত্রিকায় প্রকাশিত হবে। এমন গরম খবর তাড়াতাড়ি প্রকাশ না করলে কী চলে বলো! সাংবাদিকদের কাছে এটা শুধুই খবর, হট টপিক। আমার কাছে কি, তা যদি কেউ বুঝতো। এক সংবাদ পাঠিকা তার জীবনসঙ্গীর মৃ ত্যু র খবর নিজে পাঠ করেছিলো। আর আমি তোমার বিয়ের নিউজ তুললাম আমাদের পত্রিকায়। প্রফেশনাল লাইফের নি ষ্ঠু র তা অন্যরকম সুন্দর। তোমার নিউজের সাথে আমার নামটা যে জুড়ে থাকলো, সেটুকুইবা কম কীসে বলো। কালকের পেপার কাটিংটাও রেখে দিবো সযত্নে।
কি লিখব তোমাকে, বুঝতে পারছি না, মাথা কাজ করছে না। কত শব্দ, কত কথা এসে হা রি য়ে যাচ্ছে ফের। আবার কখনো লিখব নাহয়। শেষবেলায় রুমির কথাটুকু বলে যাই- “Somewhere beyond right and w r o n g, there is a garden. I will meet you there.”
সুন্দর থেকো অনুপম। প্রশ্মিতাকে আমার প্রেম পাঠালাম।
ইতি
তোমার কল্যাণী
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কাঁঠালবাগান, ঢাকা
যদিও এই প্রেম্পত্রের কোনও উত্তর অনুপম দেননি।