‘রাজার কীর্তি’ নিয়ে আসছে যৌথ পরিবার, শিশু মনস্তত্ত্ব ও সাইবার ক্রাইমের গল্প

যৌথ পরিবারের টানাপোড়েন সঙ্গে শিশুমনস্তত্বের মিশেলে কমলা ফিল্ম প্রোডাকসনের প্রযোজনায় আসতে চলেছে পরিচালক শঙ্কর রায়ের ছবি ‘রাজার কীর্তি’। সঙ্গে উঠে আসবে সাইবার ক্রাইমের বিষয়টিও। রাজার কীর্তি ছবিটিতে বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, রাজেশ শর্মা, পায়েল, অঙ্কুশ, সায়ন। সঙ্গীত পরিচালনায় সৌমিত্র কুন্ডু। কন্ঠশিল্পী হিসাবে রয়েছেন কুমার শানু, রূপঙ্কর, সুজয় ভৌমিক ও চন্দ্রিকা। পরিবেশনার দায়িত্বে চ্যানেল বি এন্টারটেইনমেন্ট, বজরং আগরওয়াল ও সুকেশ আগরওয়াল। ছবির গল্পে দেখা যায়, দত্ত বাড়ির কর্তা রমেশ চন্দ্র দত্ত ও মায়া দত্তের তিন সন্তান। বড় ছেলে মলয় বিদেশে থাকে। মেজছেলে রঞ্জন একটা বড় প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করে। সে তাঁর স্ত্রী পাপড়ি ও তাদের একমাত্র সন্তান রাজাকে নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকে। ছোটছেলে তথাগত একটা অত্যন্ত সামান্য চাকরি করে। ফলে সংসার টানতে চাকরি শেষে টিউশনি পড়াতে হয়। সেও তাঁর স্ত্রী রিয়া ও সন্তান ছোটনকে নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকে। রমেশ দত্তের সহায় সম্পত্তি বলতে নিজের পেনশন ও দোতলা একটা বাড়ি, যা এখনও তার নিজের নামে। বড় ছেলে মলয় বহু আগেই হাত তুলে নিয়েছে যে সে ওই বাড়ির কোনও ভাগ চায় না। মেজ ছেলে রঞ্জনের ইচ্ছা বাড়ি সমান ভাগে ভাগ হোক। কিন্তু ছোট বউ রিয়া তাঁর দিদির বুদ্ধিতে প্ররোচিত হয়। বাড়ির ভাগ নয়, গোটা বাড়িটা তাঁদের নামে হলেই যেন তাঁর শান্তি হয়। এই নিয়ে বাড়িতে নিত্যদিন অশান্তি চলতেই থাকে। এদিকে রমেশ বাবুর মেজনাতি রাজা কম্পিউটারে অসম্ভব দক্ষ। তার কম্পিউটারের নেশা কিছুতেই কমানো যায় না। অথচ একদিন এই কম্পিউটার ঘাঁটতে ঘাঁটতেই তার হাতে আসে কলকাতার বিভিন্ন অংশে হতে চলা বোমা বিস্ফোরণের নকশা ও তথ্য। রাজা তক্ষুণি নিজের বন্ধুদের একটা করে মেল পাঠিয়ে সেকথা জানায়। ব্যাপারটা বেশ চাউর হতেই রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তরের এক অনুসন্ধানকারী আধিকারিক ইন্সপেক্টর কামাল রাজার বাড়ি এসে রঞ্জন ও রাকাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু রাজা কিছুতেই সেই সাইটটা আর খুঁজে পায় না। ভুয়ো আতঙ্কবাদী হামলার খবর ছড়ানোর অপরাধে রঞ্জনকে ও রাজাকে গ্রেপ্তারের জন্য মুখিয়ে থাকে পুলিশ। এদিকে ছোট বউ রিয়াও ভালো অজুহাত পেয়ে যায় ভাশুর ও জাকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করার। ঘটনার বেগতিক দেখে মলয়ও বিদেশ থেকে চলে আসে দেশে। তদন্তকারী আধিকারিকের সাথে বিস্তর ঝামেলাও হয়। রঞ্জন অফিসে বেরোনো বন্ধ করে দেয়। দত্ত বাড়ির গায়ে জঙ্গি আঁতাতের একটা কলঙ্ক লেগে যায়। এমনই একটি গল্প উঠে আসতে চলেছে ‘রাজার কীর্তি’ ছবিতে। তবে শেষ পর্যন্ত কী ঘটবে তা জানতে হলে পুরো ছবিটি দেখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *