সোনু সুদকে ‘স্বভাবসিদ্ধ অপরাধী’ হিসেবে ব্যাখ্যা করল বৃহণ্মুম্বই পুরনিগম (বিএমসি)। বম্বে হাই কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় ‘মসিহা’ সোনুকে এভাবেই নাকি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। শোনা গিয়েছে, মঙ্গলবারই হলফনামাটি বিএমসি আদালতে জমা দিয়েছে। গত সপ্তাহেই অভিনেতার বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ পড়েছে। বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে ওই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। বিএমসির অভিযোগ, জুহুতে ৬ তলার যে শক্তি সাগর আবাসন রয়েছে তাকে কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই হোটেলে রূপান্তরিত করেছেন সোনু সুদ। নির্মাণটি সম্পূর্ণ অবৈধ। সোনু সুদের বিরুদ্ধে এও অভিযোগ, আবাসন হিসাবে অনুমেদন দেওয়া হয়েছে জুহুর ওই বিল্ডিংকে। অথচ অনুমতি না নিয়ে তিনি আবাসিক হোটেলে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেননি তিনি। এই কারণে বিএমসি জুহু পুলিশকে মহারাষ্ট্র রিজিয়ন অ্যান্ড টাউন প্ল্যানিং আইনের আওতায় অভিযোগ দায়ের করতে নির্দেশ দেয়। বিএমসি আরও অভিযোগ, নোটিস জারি করবার পরেও কাজ বন্ধ করেননি অভিনেতা সোনু সুদ। তবে অবৈধ নির্মাণের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিনেতা। বিএমসির নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে তার আগে নগর দায়রা আদালতেও পিটিশন দাখিল করেছিলেন সোনু। তবে গত মাসে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। উচ্চআদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। রায় পুনর্বিবেচনার জন্য এই আবেদন করতে পারতেন সোনু। তারপরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিনেতা। মঙ্গলবার হাই কোর্টে এদিন হলফনামায় বিএমসি জানিয়েছে, আবেদনকারী ‘স্বভাবসিদ্ধ অপরাধী’। তিনি অবৈধ নির্মাণের বাণিজ্যিক ফায়দা তুলতে চান। তাই আবাসনটিকে হোটেলে রূপান্তরিত করতে ভেঙে দেওয়া অংশে নির্মাণ কাজ শুরু করেন তিনি। এর জন্য লাইলেন্স ডিপার্টমেন্টের অনুমতি নেননি তিনি। তবে আদালত এই মামলায় জানিয়েছে, ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সোনু সুদের বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এদিকে বুধবারই অবৈধ নির্মাণ মামলার শুনানির আগে প্রবীণ এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সোনু সুদ। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে ছবি। ছবির ক্যাপশনে এটিকে সৌজন্য সাক্ষাত্ বলে উল্লেখ করা হলেও নেটদুনিয়ার অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, আবাসন মামলায় বাঁচাতেই কি পাওয়ারের দ্বারস্থ হয়েছেন সোনু!