প্রয়াত কাস্টিং ডিরেক্টর মাইক ফেন্টন

প্রয়াত হলেন ‘‌ব্যাক টু দ্য ফিউচার’, ‘‌ই টি দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল’‌, ‘‌দ্য ব্লেড রানার’‌-এর মতো কালজয়ী ছবির কাস্টিং ডিরেক্টর মাইক ফেন্টন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। ৪০ বছরের বর্ণময় পেশাদার জীবনে মাইক ‘‌দ্য অ্যান্ডি গ্রিফিত শো’‌, ‘‌দ্য গডফাদার ২’‌, ‘‌হানিমুন ইন ভেগাস’‌, ‘‌দান্তেস পিক’‌, ‘‌টোটাল রিকল’‌, ‘‌কঙ্গো’‌, ‘‌চ্যাপলিন’‌-এর মতো বহু জনপ্রিয় এবং কালজয়ী ছবিতে কাজ করেছেন। ১৯৮২ সালে আমেরিকার কাস্টিং সোসাইটির সহ প্রতিষ্ঠাতা মাইক। ছবির কাস্টিং ডিরেকশন বা পরিচালনাকেও যে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা যায় এবং এটাও সে ছবির জগতে সম্মান দাবি করে তা মাইকই শিখিয়েছিলেন। বলছেন আমেরিকার কাস্টিং সোসাইটির দুই সভাপতি রাসেল বোস্ট এবং রিচ মেন্টো। কোনও বিশেষ চরিত্রে কাকে নেওয়া ঠিক হবে তা নিয়ে যখন পরিচালক, প্রযোজকরা দোটানায় ভুগতেন অনেক সময়ই এগিয়ে গিয়ে সেই সমস্যার সমাধান সহজে করে দিতেন মাইক। এবং তাঁর করা সমাধান ছবিতে হিট হত। স্পিলবার্গ স্বীকার করলেন, এধরনের সহায়তা তাঁকেও বহুবার করেছিলেন মাইক। অনেক বড় অভিনেতাদের জীবনে বড় সুযোগ দেওয়ার কান্ডারি ছিলেন তিনি। মাইকের মৃত্যুতে হলিউডে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল, বলছেন চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞরা। ফেন্টন সম্পর্কে বিশিষ্ট পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ একবার বলেছিলেন, ‘‌মাইকের সঙ্গে কাজ করা যেন কোনও মিষ্টির দোকানে কাজ করার মতো। অভিনেতাদের প্রতি ওঁর সমর্থন কিংবদন্তীর পর্যায়ে পৌঁছিয়েছিল। উনি শুধু অভিনেতাদের সমর্থনই করতেন না, উনি বিপ্লব এনেছিলেন। ওঁকে প্রচন্ড মিস করব।’‌ মাইক নিজেও খুব ভালো অভিনেতা ছিলেন। ক্যামেরার পিছনে তাঁর নিয়ে আসা অভিনেতাদের ডায়ালগ অনেকবার নিজেই পড়তেন এবং অভিনয় করে দেখাতেন। যাতে সেই অভিনেতার মনে উদ্দীপনা জাগে। ওঁর আশেপাশে থাকা অভিনেতারাও ওঁকে খুবই ভালোবাসতেন, বলছেন স্পিলবার্গ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *