স্মরণীয় হয়ে থাকল ৭৮ তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড। এতদিন গোল্ডেন গ্লোব মঞ্চে ছিল পুরুষদের জয় জয়কার। এ-বছর সমস্ত মিথ ভেঙে গেল। ৩৮ বছর পর গোল্ডেন গ্লোব উঠে এল মহিলা পরিচালক ক্লো জাও-এর হাতে। ‘নোম্যাডল্যান্ড’ ছবি পরিচালনার জন্য তিনি পেলেন এই পুরস্কার। ‘নো ম্যাড ল্যান্ড’ ছবিটিও শ্রেষ্ঠ ছবির শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে। ক্লো জাও-ই হলেন গোল্ডেন গ্লোব-এর মঞ্চে এশিয়া মহাদেশ থেকে মনোনীত সর্বপ্রথম মহিলা পরিচালক। খুব বেশি ছবি বানাননি ক্লো। এখনও অবধি চারটে ছবি বানিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রথম ছবি ‘সংস মাই ব্রাদার টট মি’ কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখান হয়েছিল। গোল্ডেন গ্লোব মঞ্চে বরাবরই পুরুষদের জয় জয়কার। এই প্রথমবার গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চে সেরা পরিচালকের মনোনয়নে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিন মহিলা পরিচালক। মোট পাঁচ পরিচালকের নমিনেশন-তালিকায় থাকা তিন মহিলা পরিচালক হলেন রেজিনা কিং, ক্লো জাও এবং এমেরাল্ড ফেনেল। দুই পুরুষ পরিচালক হলেন ডেভিড ফিঞ্চার এবং অ্যারন সরকিন। শেষমেশ মহিলা পরিচালক ক্লো জাও পেলেন ৭৮ তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। ১৯৮৩ সালে মহিলা পরিচালক বারব্রা স্ট্রেইস্যান্ড পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার। তাঁর ‘ইয়েন্তল’ ছবির জন্য। বছর তিনেক আগে অভিনেত্রী নাতালি পোর্টম্যান গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার তুলে দিতে-দিতে বলেছিলেন, “হিয়ার আর অল দ্য মেল নমিনিজ…” । সেই মিথ এবার ভেঙে গেল। চিনের মহিলা পরিচালক ক্লো জাও পেলেন এবার শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার।