এবার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন মধুমিতা সরকার। ‘লাভ আজকাল পরশু’, ‘চিনি’র পর এবার তৃতীয় ছবির কাজ শুরু করেছেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। ছবির নাম ‘ট্যাংরা ব্লুজ’। ‘ট্যাংরা ব্লুজ’ ছবিটির পরিচালনা করছেন সুপ্রিয় সেন। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন নবারুণ বোস। এই ছবিতে মধুমিতার চরিত্রের নাম জয়ী। সঞ্জীব মণ্ডলের চরিত্রে দেখা যাবে পরমব্রতকে। ছবির গল্পে দেখা যাবে জয়ীর সঙ্গে আলাপে বদলে যায় সঞ্জীবের জীবন। জয়ী অর্থাৎ মধুমিতা সরকার হলেন মুম্বইয়ের একজন উঠতি সঙ্গীত পরিচালক। জয়ী মুম্বইয়ের চাকচিক্যে ভরা জীবন থেকে বেরিয়ে এসে ট্যাংরাতে তাঁর বাবার একটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে শুরু করেন। একদিন বাড়ি ফেরার পথে রাস্তাতে বস্তির কিছু বাচ্চাদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয় জয়ী। তবে আকষ্মিক বোমা বিস্ফোরণে সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। পরদিন সকালে ‘ছালু’ ও ‘পরি’কে নিজের বাড়ির সামনেই আবর্জনা সংগ্রহ করতে দেখা অবাক হয়ে যায় জয়ী। আগেরদিন ‘ছালু’ ও ‘পরি’কেই সে রাস্তায় পারফর্ম করতে দেখেছিল। জয়ী জানতে পারে ‘ছালু’ ও ‘পরি’ আসলে সঞ্জীব মণ্ডলের দলের সদস্য। ১০ বছর আগে যে গ্রুপটি দেশের সবথেকে বড় ট্যালেন্ট শোয়ে পারফর্ম করে দেশবাসীকে মুগ্ধ করেছিল। এভাবে প্রতিভাশালী শিল্পীদের এভাবে রাস্তাতে শো করতে দেখে অবাক জয়ী। সঞ্জীব মণ্ডলের সঙ্গে আলাপের পর জয়ী জানতে পারে, তিনি একজন প্রাক্তন গ্যাংস্টার। বহুবছর আগে জনপ্রিয় ট্রেড ইউনিয়নের নেতা সিরিল মুর্মু ( ছালুর বাবা)র রহস্যজনক হত্যা এবং তাঁর বাবার আত্মহত্যার পর তিনি তাঁর জীবনকে অন্য পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সঞ্জীব ও তাঁর কাছের বন্ধু ইমরান বস্তি বাচ্চাদের নিয়ে একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন। তবে ব্যান্ড ছেড়ে বের হয়ে ফের গ্যাং লিডার হয়ে যায় ইমরান। আর তাতেই তাঁদের ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। বস্তির বাচ্চাদের নিয়ে সঞ্জীর ফের ব্যান্ডটি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন এবং তবে তাঁর কথায় ব্রেকথ্রু পাওয়া খুব কঠিন। শেষে গল্পের পরিণতি কী হয়, তা ছবি মুক্তির পরই জানা যাবে। আপাতত চলছে ছবির শুটিং। আশা করা যায় এবছরেই মুক্তি পাবে ‘ট্যাংরা ব্লুজ’।