সোমবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার শ্যুটিং চলাকালীন স্ট্রোক হয় মিঠুনের। তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাপেলো হাসপাতালে। সঙ্গে গিয়েছিলেন সোহম চক্রবর্তী। পরে অ্যাপেলো তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর স্ট্রোক হয়েছে। বলা হয়, ‘৭৩ বছর বয়সী জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে সকাল ৯.৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতার অ্যাপেলো মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। মস্তিষ্কের এমআরআই, রেডিওলজি-সহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁর ইস্কেমিক সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাকসিডেন্ট (স্ট্রোক) ধরা পড়েছে। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সচেতন। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তরল খাবার খাচ্ছেন। মিঠুনের চিকিৎসার জন্য নিউরো-ফিজিসিয়ান, কার্ডিওলজিস্ট এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্টদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে’। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান দেবশ্রী রায়, দেব, রাজ চক্রবর্তী থেকে শুরু করে আরও অনেকেই। শনিবারই ছুটে আসেন মিঠুনের বড় ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী, যিনি মিমো নামেই পরিচিত। রবিবার সোহম জানিয়েছিলেন যে সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন মিঠুন। ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার ছুটি পান তিনি। ফেরার সময়ে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন বলেন, ‘ভালো আছি এখন। কোন সমস্যা নেই। সব সমস্যা খাওয়া দাওয়ায়। রাক্ষসের মতো খেয়ে ফেলি, গোগ্রাসে। এখানে এসে একটু বেশি খেয়ে ফেলি যা মুম্বই বা হায়দ্রাবাদে পাই না। সুগার বেড়ে গিয়েছিল। তাই খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছেন ডাক্তার। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের বলতে চাই, তারা কখনোই ভাববেন না মিষ্টি না খেলে আপনার কিছু হবে না। সব সমস্যা খাওয়াতে। খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন। ইনসুলিনকে ভয় পাবেন না। আমার সমস্যা, আমি রাক্ষস’। সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনায় শাস্ত্রী ছবির শ্যুটিং করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তবে খুব শীঘ্রই সেটে ফিরতে চান তিনি। মিঠুন বলেন, ‘শুটিং করব ১৯ তারিখ থেকে। দুটো দিন লস হয়ে গেল, ওটা ম্যানেজ করতে হবে। আমি কাল থেকেও কাজ করতে পারি, এটা আমার চয়েজ। তবে শেষে বলব, আমার ডায়াবেটিসের বার্তাটা মনে রাখবেন। খাওয়াদাওয়া কন্ট্রোল করতে হবে’।