বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহা। তপসিয়ার অর্কিড গার্ডেনে বসেছিল টলিউড জুটির বিয়ের আসর। রাজকীয় ঢঙে সাজানো হয় বিয়েবাড়ি। সনাতন রীতি মেনে বিয়ে শুরুর আগে আইনী বিয়ে সেরে ফেলেন তারকা দম্পতি। সনাতন রীতি অনুযায়ী বিয়ের আগে কনে বরের মুখ দেখতে পারেন না। আর সেই রীতি মেনে পর্দার আড়ালেই রেজিস্ট্রির কাগজে সই করলেন নীল-তৃণা। সনাতন রীতি মেনেই একে অপরের গলায় মালা পড়ালেন নীল-তৃণা। বিয়ের দিন তসরের ডিজাইনার পাঞ্জাবিতে দেখা গেল নীল ভট্টাচার্যকে। বিয়ের দিন তৃণা সেজেছেন চিরাচরিত বাঙালি বধূর সাজে। তাঁর পরনে ডিজাইনার লাল বেনারসি, গায়ে গয়না। নীল-তৃনার বিয়ের মেনুতে ছিল বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। প্রথমে সালাড থেকে শুরু করে শেষে ডেজার্ট পর্যন্ত ছিল নানা রকমের চমক। সালাডের মধ্যে ছিল রায়তা, চিকেন সালাড, ফ্রুট সালাড, রাশিয়ান সালাড, পাস্তা, দই বড়া আরও অনেক কিছু। মেন কোর্সে ছিল বাটার নান, পেঁয়াজ কচুরি, ডাল মাখানি, তরকা, ছোলার ডাল ও মেনুতে জিরা রাইস, বাসন্তী পোলাও, ছানার পাতুরি, মালাই কোফত্ ভেটকি পাতুরি, চিতল মাছের মুইঠা, মিঠি মালাই চিকেন, প্রন মালাই কারি, মটন কষা, ভেজ ঝাল ফ্রেজি, চাটনি, পাঁপড়। এর পরেই আসে মধুরেণ সমাপয়েত অর্থাৎ মিষ্টিমুখ। ডেজার্টেও ছিল চমক। গরম গরম মালপোয়ার সঙ্গে ক্ষীর এবং সঙ্গে ছিল পাটিসাপ্টা ও মিষ্টি। এছাড়াও ছিল বাহারি আইসক্রিম। অতিথিদের তালিকাতেও রয়েছে বিশেষ কিছু নাম। স্ত্রী মিথিলার সঙ্গে আসেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এদিন তাঁদের একসঙ্গে ছবিও তুলতে দেখা যায়। তবে এদিনের চিফ গেস্ট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাড়াতাড়িই পৌঁছে যান তিনি। বিয়ের আগেই আশীর্বাদ করেন তৃণাকে।