প্রয়াত হলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং রামোজি গ্রুপের চেয়ারম্যান রামোজি রাও। শনিবার ভোর ৪.৫০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হায়দ্রাবাদের স্টার হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৫ জুন থেকে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন রামোজি। তিনি হার্ট সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। রামোজি রাও-এর মৃতদেহ রামোজি ফিল্ম সিটিতে তাঁর বাসভবনে রাখা হয়েছে। এখানে তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। রামোজি রাওকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাহ করার ঘোষণা দিয়েছে তেলেঙ্গানা সরকার। রামোজি রাও মিডিয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় নাম ছিল। তিনি ১৯৬২ সালে রামোজি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন, যার মধ্যে রয়েছে রামোজি ফিল্ম সিটি, হায়দ্রাবাদে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম ফিল্ম স্টুডিও, উষা কিরণ মুভিজ, ময়ূরী ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটরস, মার্গাদর্শী চিট ফান্ড এবং ডলফিন গ্রুপ অফ হোটেল। রামোজি টেলিভিশন চ্যানেলের ETV নেটওয়ার্ক এবং তেলেগু সংবাদপত্র Eenadu-এরও প্রধান ছিলেন। ২০১৬ সালে সাংবাদিকতা, সাহিত্য এবং শিক্ষায় অবদানের জন্য রামোজিকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণ দেওয়া হয়। রামোজি রাওয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স-এ তাঁর সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন- ‘রামোজি রাওয়ের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী যিনি ভারতীয় গণমাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। সাংবাদিকতা ও চলচ্চিত্র জগতে তিনি অমর চিহ্ন রেখে গেছেন। তিনি মিডিয়া এবং বিনোদন জগতে উদ্ভাবন এবং শ্রেষ্ঠত্বের জন্য নতুন মান স্থাপন করেছেন। রামোজি রাও ভারতের উন্নয়নের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। আমি ভাগ্যবান যে আমি তার সাথে যোগাযোগ করার অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম।’