সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ভাঙা পড়তে চলেছে মিঠুন চক্রবর্তী সহ একাধিক সেলিব্রিটি, নামী ব্যক্তির রিসর্ট ৷ নীলগিরির পাহাড়ি অঞ্চলে মাদুমলাই ফরেস্টের সুরক্ষিত জায়গাই আইনি বিধি মেনেই রিসর্ট তৈরি করেছিলেন একাধিক জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ৷ এর মধ্যে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও একটি রিসর্ট রয়েছে ৷ কিন্তু ওই এলাকার আশপাশ দিয়েই যাতায়াত হাতিদের ৷ এলিফ্যান্ট করিডরের এতটা কাছে জনবসতির কারণে প্রভাব পড়ে ওই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রে ৷ রিসর্ট তৈরি হওয়ার পর ওই অঞ্চলে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে জনসমাগম ৷ মানুষের ভয়ে হাতিরাও নিজেদের চলাচলের রাস্তা ক্রমাগত বদলে ফেলছে ৷ ক্ষতি হচ্ছে জঙ্গলের ৷ এই বিষয়টিতে নজরে আনতেই ২০১১ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা ৷ সেই মামলার শুনানিতেই পরিবেশ রক্ষার উদ্দেশে মিঠুন চক্রবর্তীর রিসর্ট সহ ওই এলাকায় গড়ে ওঠা সমস্ত হোটেলগুলিকেই ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত ৷ মাদ্রাজ হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে জমা পড়ে ৩২টি আপীল৷ সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী নিজের আবেদনে আদালতকে জানিয়েছিলেন, তাঁর রিসর্ট থেকে ওই এলাকার বহু আদিবাসী মানুষ নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন ৷ রিসর্ট ভাঙা পড়লে তারা রোজগার হারাবেন ৷ একইসঙ্গে ওখানে মানুষের জনসমাগমের কারণে চোরাশিকারদের হাত থেকেও হাতিদের বাঁচানো সম্ভব হয়েছে ৷ তাই আদালতে রিসর্টটি না ভাঙার আবেদন রেখেছিলেন অভিনেতা ৷ ওই আবেদনের শুনানিতে সু্প্রিম কোর্ট মিঠুন চক্রবর্তীর আবেদন সহ ৩২টি আপীল খারিজ করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে ৷ আদালত বলে, হাতিরা অত্যন্ত ভদ্র একটি প্রাণী তাই মানুষেরও ভদ্রতাস্বরূপ তাদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়া উচিত ৷ ওই অঞ্চলকে ২০১০ সালের অগাস্ট মাসে এলিফ্যান্ট করিডর বা হাতিদের চলাফেরার অঞ্চল বলে চিহ্নিত করে তামিলনাড়ু সরকার ৷ তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে ও হাতিদের বাঁচাতে ওই অঞ্চলে আদিবাসীদের বাড়ি ছাড়া বাকি রিসর্ট, হোটেল সহ মোট ৮২১টি বিল্ডিং ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ তামিলনাড়ুর নীলগিরির পাহাড়ি অঞ্চলে তৈরি ওই রিসর্ট গুলির কারণে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে হাতিদের চলাফেরায় ৷ এলিফেন্ট করিডরের খুব কাছে রিসর্টগুলির অবস্থান৷ বুধবার রিসর্টগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ ২০১১ সালে এই একই ইস্যুতে মাদ্রাজ হাইকোর্টও রিসর্ট ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ৷ সেই নির্দেশেই এদিন সিলমোহর দিল শীর্ষ আদালতও ৷