সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রবীণ অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে স্নেহাশিস চক্রবর্তীর জনপ্রিয় ধারাবাহিক “গীতা এলএলবি”-তে। দীর্ঘদিন তাঁকে যিনি নিয়মিত দেখাশোনা করেন তিনি জানিয়েছেন, প্রবীণ অভিনেত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে দমদমের এক বেসরকারি হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকেরা কোনও আশা দিতে পারছেন না। যে কোনও সময়ে খারাপ খবর আসতে পারেন। কাউকে চিনতে পারছেন না তিনি। প্রবীণ অভিনেত্রী প্রযোজক-পরিচালক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বিশেষ প্রিয়। প্রচণ্ড সম্মান করেন তাঁকে। তিনি জানতেন, অভিনেত্রীর উপার্জনের খুবই প্রয়োজন। সেই জন্যই ধারাবাহিক ‘গঙ্গারাম’ বা ‘গীতা এলএলবি’-তে ডেকে কাজ দিয়েছেন। এবং সেটে যাতে কোনও অযত্ন না হয় তার দিকেও কড়া নজর রাখতেন। করোনাকালে অভিনেত্রীর দেখভাল নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন প্রযোজক-পরিচালক। না চাইতেই এককালীন ৪০ হাজার টাকা অভিনেত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে নিয়ে কথা বলেছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ও। স্টার জলসার এই ধারাবাহিকে তিনি ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের মা। তিনি বলেছেন, ‘‘দিন কয়েক আগে ওঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। তখন প্রচণ্ড হাঁফাচ্ছিলেন। কারণ জিজ্ঞেস করতেই দিদি জানান, ওঁর ক’দিন ধরেই খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।’’ তারপরেই জানতে পারেন, তিনি দমদমের কাছে এক নার্সিংহোমে ভর্তি। গচ ১৫ দিন ধরে আর কোনও খবর নেই। তিনিও শুটিংয়ে আসছেন না। দীর্ঘদিন ধরেই বাসন্তী দেবী নানা রোগে জর্জরিত। ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। কেমো নিয়ে সাময়িক সুস্থ হলেও ফের মারণরোগ ফিরে আসে। তাঁর পেসমেকার বসানো আছে। কিডনি অকেজো। কোভিডকালে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভাস্বরের কথায়, ‘‘খুব আস্তে আস্তে হেঁটে আসতেন। নির্দিষ্ট সময়ের পরে আর কাজ করতেও পারতেন না। কিন্তু যখনই ক্যামেরার মুখোমুখি হতেন তখন তরতাজা। বাঘিনীর মতো দাপটের সঙ্গে অভিনয় করতেন।’’ ভাস্বরের দাবি, ‘‘পরিচারিকা-নির্ভর জীবন হয়ে পড়েছিল দিদির। গাড়ির চালকও খুবই দেখভাল করেন। শুনেছি, কাছাকাছি থাকেন মেয়ে-জামাই।’’