প্রলয়’ ছবিতে দর্শক যে পরিচালককে পেয়েছিলেন তিনি কিছুটা হলেও হারিয়ে গিয়েছিলেন ‘অভিমান’-এ। পরিণীতা-য় ফের সেই জায়গা ফিরে পেয়েছেন রাজ চক্রবর্তী। তাঁর বহু ছবিই সমসাময়িক সমাজ ও রাজনৈতিক বিষয়ভিত্তিক। সেই তালিকায় সংযোজন হতে চলেছে ‘ধর্মযুদ্ধ’। ২০ মে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটির। কিন্তু ঘটনাচক্রে এগিয়ে এল রাজ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক থ্রিলার ধর্মযুদ্ধ ছবির মুক্তির সময়। ৩ এপ্রিল মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালকের নতুন ছবি। সুখবরটি নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন পরিচালক রাজ ৷ ক্যাপশনে পরিচালক লেখেন, ‘ধর্ম কি আমাদের পরিচয়? আমরা মানুষ… এটা আমাদের পরিচয়।’ কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ‘ধর্মযুদ্ধ’-র ট্রেলার। ট্রেলার বলছে, সাধারণ মানুষের বাঁচার গল্পে এবং সামাজিক পরিস্থিতির আয়না হয়ে এই ছবিতে আসছেন অন্য রাজ। বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে ধর্মান্ধতার অন্ধকার ও রাজনৈতিক বিভেদকে এক পর্দায় তুলে ধরতে চেয়েছে পরিচালক । এই ছবির শেষে আদতে উঠে আসবে মনুষ্যত্বের ছবি । ছবিতে পাঁচটি মূল চরিত্রের নাম জবর, রাঘব, শবনম, আম্মি ও মুন্নি। ছবিতে মুন্নি-র চরিত্রে দেখা যাবে রাজ ঘরনী শুভশ্রী গাঙ্গুলীকে। এ ছবিতেও ডি-গ্ল্যাম লুকে দেখা দেবেন অভিনেত্রী। সোহম রয়েছেন জবরের ভূমিকায়। রাঘবের চরিত্রে দেখা যাবে ঋত্বিককে এবং পার্নোর চরিচত্রের নাম শবনম। আম্মার- ভূমিকায় স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। ‘ধর্মযুদ্ধ’ মুক্তির আগে শুভকামনায় মহাকালের মন্দিরে সস্ত্রীক পুজো দিলেন পরিচালক। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের পুজো দেওয়ার পর একটি ছবি শেয়ার করেছেন রাজ। তিনি হলুদ রঙের দক্ষিণ ভারতীয় লুঙ্গি, কাপলে হলুদের তিলক, গলায় বেলপাতার মালা পরে মন্দিরে পুজো দেন। শুভশ্রীকে দেখা যায় লাল ঢাকাই শাড়িতে। তাঁর হাতে রয়েছে ফুল ও পুজোর সামগ্রী। রাজের মতো একইভাবে শুভশ্রীর কপালেও তিলক কাটা। মহাকাল মন্দিরটি মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী শহরে রয়েছে। আর তাই রাজ-শুভশ্রী যে আপাতত মধ্যপ্রদেশে গিয়েছেন তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। তবে শুধু রাজ -শুভশ্রী একা নন, তাঁদের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ গিয়েছেন শুভশ্রীর দিদি দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলে অনিশ গঙ্গোপাধ্যায়ও গিয়েছেন।
"ধর্ম কি আমাদের পরিচয়?
আমরা মানুষ… এটা আমাদের পরিচয়।" #Dharmajuddho
Releasing 3rd April pic.twitter.com/x6FWi0dHjt— rajchoco (@iamrajchoco) March 2, 2020