মারণ ভাইরাস কোরোনাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারী বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই। কোরোনা আতঙ্কে গোটা বিশ্বে একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে জনজীবন। ভারতে এই মুহূর্তে কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭। পরিস্থিতি জটিলতর হওয়ার আশঙ্কায় স্কুল-কলেজ এমনকী আদালতও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুম্বইতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। ঠিক এই পরিস্থিতিতে আলোচনায় উঠে এসেছে হলিউড ফিল্ম ‘কন্টাজিয়ন’। ২০১১ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন ম্যাট ড্যামন, জুড ল, গিনিথ প্যালট্র, কেট উইন্সলেট, ম্যারিয়ন কটিলার্ড ও লরেন্স ফিশবার্ন। ছবির পরিচালক ছিলেন স্টিভেন সদেরবার্গ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যাঁকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে তিনি হলেন ছবির চিত্রনাট্যকার স্কট জেড বার্নস। ‘কন্টাজিয়ন’-এ দেখানো হয়েছিল যে সারা পৃথিবীতে একটা মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে, যার উৎপত্তিস্থল হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ছবিতে ওই ভাইরাস নিয়ে যা যা দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে করোনা ও তার প্রভাবে গা ছমছমে মিল রয়েছে। ‘কন্টাজিয়ন’-এর ভাইরাসটি বাতাসে ভেসে বেড়ায় এবং শরীরে ঢুকে পড়ার কিছুদিনের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হয়। ছবির গল্পে দেখানো হয় যে সারা পৃথিবীর চিকিৎসক ও গবেষকদের কাছে এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক নেই এবং দ্রুত সারা পৃথিবীতেই মহামারী দেখা দেয় ভাইরাসের প্রকোপে। ছবিটি অত্যন্ত ভাল ব্যবসা করেছিল তো বটেই, সমালোচকরাও প্রশংসা করেছিলেন ওই ছবির।