বাংলা ছবিতে ক্রাইম জঁর নিয়ে বেশ এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে । তাই প্রতি বছরেই বেশ অনেক সংখ্যক ক্রাইম থ্রিলার মুক্তি পাচ্ছে টলিউডে। তেমনই এক ছবি আসতে চলেছে টলি পর্দায়। এবার রহস্য ভেদ করবেন এক ক্রাইম রিপোর্টার। রিপোর্টারের জীবন মানেই সংকটবহুল। আর ক্রাইম রিপোর্টার হলে তো কথাই নেই। চড়াই-উতরাইটা অনেক বেড়ে যায়। এমনই এক রিপোর্টারের গল্প উঠে এসেছে ‘শকুনের লোভ’ ছবিতে। বলা হয় সাংবাদিকরা শকুনের মতো। খবরের খোঁজে তাঁদের চোখ থাকে ভাগাড়ে। বোধহয় সেখান থেকেই পরিচালক অনিন্দ্য বিকাশ দত্ত তাঁর ছবির নাম রেখেছেন ‘শকুনের লোভ’। এই ছবিতে সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা যাবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন সাংবাদিক সুরবেক বিশ্বাস। পরমব্রত-র চরিত্রের নাম অনির্বাণ সেনগুপ্ত। বহুদিন ধরে ক্রাইম রিপোর্টার হিসাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। কিন্তু কেরিয়ারে সেভাবে কোনও দিশা দেখতে পাননি অনির্বাণ। উপরন্তু অফিস পলিটিক্সের শিকার। এমনকি তাঁর প্রেমিকাও তাঁকে ছেড়ে চলে যান। বলা যায় নিজের কেরিয়ারের জন্যই তিনি প্রেমিকাকে তেমন ভাবে গুরুত্ব দেননি। সংবাদিকতা তাঁর যে শুধুই পেশা নয়, নেশাও, স্বপ্নও বটে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর তাঁর মাও মারা যান। বাবা ছিলেন বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক। যেখান থেকেই তাঁর সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন। একসময় তিনি দেখলেন জীবনে আর কিছুই পাওয়ার নেই। কোথাও গিয়ে তিনি মৃত। সব কিছু মিলিয়ে অনির্বাণের জীবনে নেমে আসে হতাশা। ঠিক এমন সময় তার হাতে আসে ১৬ বছর আগে শহরে ঘটে যাওয়া এক খুনের গোপন তথ্য। প্রায় ১৬ বছর আগে এ শহরে ডালহৌসিতে খুন হন এক পার্সি মহিলা। কিন্তু সেই খুনের কোনও রকম কিনারা করতে পারে না পুলিশ। নতুন পুলিশ কমিশনারেট এসে আবার কেসটি নাড়াচাড়া করেন। নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে। প্রথম সাংবাদিক হিসেবে সেখানো পৌঁছয় অনির্বাণ। উদ্ধার করে তথ্য। এক্সক্লুসিভ সব রিপোর্ট লিখতে থাকে সে। ফিরে আসে সব পুরনো যোগাযোগ। এই ছবিতে পুলিস অফিসার সুজয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে জয় সেনগুপ্তকে। সম্পাদকের ভূমিকায় থাকছেন শঙ্কর চক্রবর্তী। এই ছবিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে মৌ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে অপর্ণা সেনের ‘ঘরে বাইরে আজ’ ছবির নায়িকা তুহিনা দাসকে। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে তাপ্তি মুন্সিকে। চলতি বছরের ফেব্রিয়ারি মাসে মুক্তি পাবে ‘শকুনের লোভ’ ছবিটি। ইতিমধ্যেই প্রযোজনা সংস্থার তরফে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ছবির ফার্স্ট লুক। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে ছবির পোস্টার শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে এক পুলিশকর্তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ‘রিপোর্টার’ পরমব্রত। তার নিচে একটি খবরের কাগজ। সেখানে হেডলাইন ‘পারসি মহিলা খুনের মামলা’। পোস্টারের ক্যাপশনেও তেমনই ইঙ্গিত দিযেছেন অভিনেতা। লিখেছেন, ছবিটি এক ক্রাইম রিপোর্টারের গল্প। যে ১৬ বছরের পুরনো খুনের রহস্যভেদের জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছে। সে কি সফল হতে পারবে? রহস্যভেদই বা হবে কী করে?
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=2667374606709093&set=a.179820022131243&type=3&eid=ARA2TxPrGVuXZ6nXbmS15BJlPyFGLMkssdHd1zPDEiLv9b_zc6E2pHp44c65DXIwbgsbR1tsTnp41-4r&__xts__%5B0%5D=68.ARAQAgLXvHzHBwUojL2YoKSB3dYuMoBKXiOdnvUfa_br276U6LyWigHjIE978GQdDYBi_B13Sa1vCHzn2AJq5xM9b14PeMcPCWWpA80xpgzz2hqZP0J2oVHkIvgAbbG98ehWpsGL-FavYLvNjQFU6LHceIO2rYFKI9KEBSkKjPDVsTBHZdTa4tuPkrZim0ww1sLhwTWQcmfpMq5x&__tn__=EEHH-R