যশ রাজ ফিল্মসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় মুম্বই পুলিশে। ইকনমিক অফেন্স উইং-এর তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আদিত্য চোপড়ার প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে। তারপরই প্রযোজনা সংস্থার কাছ থেকে নথিপত্র চেয়ে পাঠাল মুম্বই পুলিশ। আদিত্য চোপড়া কর্তৃক পরিচালিত যশ রাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি যাবতীয় ছবির গানের রয়্যালটি বাবদ কত টাকা আয় করে কোম্পানি, সেই সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশের ইকনমিক অফেন্স উইং-এর তরফে। এপ্রসঙ্গে মুম্বই পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, তাঁরা আপাতত খতিয়ে দেখবেন যে যশ রাজ ফিল্মস তাঁদের সমস্ত গানের রয়্যালটি বাবদ কত টাকা পেয়েছে এবং তার মধ্যে কত টাকা শিল্পী, সুরকার এবং গীতিকারদের খাতে গিয়েছে। পাশাপাশি তিনি ২০১২ সালে পাস হওয়া কপিরাইট আইনের সংশোধনীর উল্লেখ করে এও বলেন যে, “যশ রাজ ফিল্মসের স্বত্ত্বাধীন যে কোনও গান, কোনও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম অথবা অনুষ্ঠানে প্রত্যেক বার ব্যবহৃত হলে যে টাকা রয়্যালটি বাবদ আয় হয়, হিসেবমতো তার ৫০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট শিল্পী কিংবা শিল্পীদের দেওয়ার কথা। কিন্তু ইন্ডিয়ান পারফরমিং রাইটস সোসাইটির তরফে গত বছর একটি চিঠি দেওয়ার পরও যে রয়্যালটি যশ রাজ প্রযোজনা সংস্থা থেকে শিল্পীদের দিয়েছে, তাও ৫০ শতাংশ থেকে অনেকটাই কম।” সূত্রের খবর, ২০১২ সাল থেকে যে সমস্ত গায়ক, গীতিকার ও সংগীত পরিচালকরা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদের প্রাপ্য রয়্যালটির ৫০ শতাংশ টাকা খেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে মোট ১০০ কোটি টাকা শিল্পীদের বকেয়া রাখার অভিযোগ রয়েছে এই প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে। ঠিক এই মর্মেই কোম্পানির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইটস সোসাইটির তরফে। ইন্ডিয়ান পারফর্মিং রাইটস সোসাইটি আদতে শিল্পীদের রয়্যালটি সংগ্রহ সংস্থা। এমনকী, ওই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে রয়্যালটি সংগ্রহ সংস্থার যাবতীয় ই-মেলও খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ। সময় মতো পারিশ্রমিক পাওয়া যায় না যশ রাজ ফিল্মসের কাছ থেকে, তাই এই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে নারাজ মুম্বইয়ের সংগীত জগতের অনেকেই। এযাবৎকাল এই অভিযোগ শোনা গিয়েছিল ঠিকই। তবে এবার বিষয়টা খানিক গুরুতর!