আজ মুক্তি পেল পাভেল পরিচালিত ও জিত প্রযোজিত সিনেমা ‘অসুর’। তবে তার আগেই বিতর্কে জড়ালো এই ছবি। ছবির বিরুদ্ধে অনুযোগ আনলেন কুমোরটুলির পরিচিত প্রতিমা শিল্পী শ্রী মিন্টু পাল। ‘অসুর’-এর ট্রেলার দেখে আন্দাজ করা গিয়েছে যে দেশপ্রিয় পার্কের সবচেয়ে বড় দুর্গা-র ঘটনাকে ভিত্তি করেই নিজের গল্প তৈরি করেছেন পাভেল। দেশপ্রিয় পার্কের দুর্গা প্রতিমার কারিগর ছিলেন মিন্টু পাল। ছবি মুক্তির আগে সেই মিন্টু পালই আপত্তি জানালেন। তাঁর তৈরি করা মূর্তিতেই শিরোনামে এসেছিল দেশপ্রিয় পার্কের ঘটনা, কিন্তু সেই বিষয়ে ছবি তৈরি হলেও তিনি নাকি গুরুত্ব পেলেন না, এমনটাই দাবি কুমোরটুলির মিন্টুবাবুর। মিন্টু পালের দাবি, ‘পাভেল দু-তিন বছর আগে এসে পুরো ঘটনাটা জানেন। মাঝে একটা ফোন করে জানিয়েছিলেন, তোমাদের এই গল্পটা নিয়ে একটা ছবি তৈরি করেছি দাদা। কিন্তু ঘটনার যে আসল শিল্পী, তাঁকেই তো বাদ দিয়ে দিল! নূন্যতম সৌজন্য বোধটুকুও নেই এদের। ট্রেলার দেখে জানতে পেরেছি ছবিটার কথা। জিত কুমোরটুলিতে এলেন কিন্তু কোনও শিল্পীদেরই একটু সম্মান জানালেন না।’ তাহলে কি ছবিতে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হয়নি? সে বিষয়ে অবশ্য কিছুই জানেন না মিন্টুবাবু। পাভেলের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও কথাও বলেননি মিন্টু পাল। তাঁর বক্তব্য, ‘কৃতজ্ঞতা আমার চাইও না। তবে আমার সেই ঘটনাটা নিয়েই তো ছবিটা হচ্ছে, তাই আমার কাছে একবার আসতে পারত। অন্তত ভাল-মন্দ জিজ্ঞেস করতে পারত, কিন্তু কিছুই করেনি।’ পাভেল এ বিষয়ে বলেন, ‘দেশপ্রিয় পার্কের সবচেয়ে বড় দুর্গার ঘটনাটা জানতে চেয়েছিলাম এবং কেবলমাত্র ওঁর (মিন্টু পাল) থেকে নয় দেশপ্রিয় পার্কের সদস্য থেকে শুরু করে যাঁরা যাঁরা বিষয়টার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, প্রত্যেকের সঙ্গেই কথা বলেছি। ছবিটা তো ওঁর (মিন্টু পাল) বায়োপিক নয়, বরং দেশপ্রিয় পার্কের ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ছবিটা। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে ওঁর নাম দিয়েছি। এর থেকে বেশি কী বা করতে পারতাম?’ প্রসঙ্গত, জিত, নুসরত ও আবির অভিনীত এই ছবির মাধ্যেমই ভারতের চিত্রকলা ও স্থাপত্যের প্রবাদ প্রতিম ব্যক্তিত্ব রামকিঙ্কর বেইজকে সম্মান জানানো হচ্ছে। অনেক আগেই এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন পাভেল। নিজের ছন্দে থাকা এই শিল্পীর পথ চলার গল্পই ‘অসুর’। তিন অভিন্ন হৃদয় বন্ধুর সম্পর্কের পরিণতির চিত্রনাট্য এ ছবির অন্যতম আকর্ষণ বলে জানা গিয়েছে।