অ্যালঝাইমার্স অর্থাৎ ভুলো রোগ। বাস্তবে আমাদের চারপাশে বয়সকালে এরকম সমস্যায় জর্জরিত অনেককেই দেখা যায়। কখনও তাঁরা পরিবার, স্বজনদের কাছে বোঝা হয়ে ওঠেন তো, আবার কখনও বা সহৃদয় কোনও ব্যক্তি তাঁদের হাত শক্ত করে ধরে জীবনে চলার পথে এগিয়ে দেয় তাঁদের। সারাদিনে খেয়েছেন কিনা, স্নান করেছেন কিনা ভুলে যাওয়া, আবার কখনও কখনও তো প্রিয়জনকেও চিনতে পারেন না। অ্যালঝাইমার্স ভুক্তভোগীদের ঠিক এরকমই সমস্যা হয়। সুদেষ্ণা-অভিজিৎ বরাবরই ভিন্ন বিষয়বস্তুকে নিজেদের সিনেমার পাথেয় করে তোলেন। ভিন্ন স্বাদের গল্প বলতেও এই পরিচালকজুটির জুড়ি মেলা ভার। এবার অ্যালঝাইমার্স কিংবা ডিমেনশিয়ার মতো মারাত্মক বাস্তব সমস্যা নিয়ে ছবি তৈরি করেছেন তাঁরা। ছবির নাম ‘শ্রাবণের ধারা’। যে ছবির মুখ্য চরিত্রে দুই ডাকসাইটে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সদ্য প্রকাশ্যে এল ছবির ট্রেলার। সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে সেই ছবি। ফেব্রুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘শ্রাবণের ধারা’। অমিতাভ রায়, ইতিহাসের খ্যাতনামা অধ্যাপক। যিনি কিনা বরাবরই অ্যালঝাইমার্সে ভুক্তভোগী। বয়সকালে এই রোগের জন্য অমিতাভকে যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেই নিয়েই ছবির গল্প। অমিতাভ রায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। যার চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন ডঃ নীলাভ রায়। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তবে এই ছবির কাস্টিংয়ে কিন্তু অন্য আরেক চমক রয়েছে। অসমবয়সি গার্গী রায়চৌধুরি এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাবে জুটি বাঁধতে। সৌমিত্রের স্ত্রীয়ের চরিত্রে দেখা যাবে গার্গীকে। চরিত্রের নাম শুভা সরকার। অন্যদিকে, পরমব্রতর স্ত্রীয়ের চরিত্রে বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। সৌমিত্র-গার্গীর রসায়নের সঙ্গে সময়ের অভাবে পরমের সঙ্গে স্ত্রী বাসবদত্তার বৈবাহিক জীবনের সমস্যাও দেখানো হয়েছে প্যারালালি। ‘শ্রাবণের ধারা’য় খুব সুন্দর করে অ্যালঝাইমার্সের চিকিৎসাগত পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। রয়েছে পরামর্শও। বাড়িতে অ্যালঝাইমার্স আক্রান্ত কোনও রোগী থাকলে তাঁর সঙ্গে কেমন আপনার ব্যবহার করতে হবে, সেই বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে চিত্রনাট্যে।