টানটান রহস্যময় সাগরদ্বীপে পরমব্রত-কোয়েল

পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের ‘যকের ধন’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৭ সালে। সেখানে তিনি পরিচয় করিয়ে ছিলেন পেশায় অধ্যাপক নেশায় অ্যাডভেঞ্চারস বিমল সেনকে (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়)। গতকাল  মুক্তি পেল ‘যকের ধন’ সিরিজের দ্বিতীয় ছবি ‘সাগরদ্বীপে যকের ধন’। ছবিতে অ্যাডভেঞ্চার, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভূগোল এবং কল্পবিজ্ঞানের এতো সুন্দর সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন সায়ন্তন, সঙ্গে অসম্ভব সুন্দর ভিএফএক্স ও ক্যামেরা এবং গ্রাফিক্সের কাজের মাধ্যমে ছবিটি অতি সফলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। শীতের মরশুমে এবং ছুটিতে এই ছবি ছোটদের খুবই প্রিয় ছবি হয়ে উঠবে। সৌগত বসু তাঁর বুনোট চিত্রনাট্যে বিজ্ঞানীদের মিথ রেড মার্কারী, ভারতীয় মাইথলজির সংমিশ্রণ সব মিলিয়ে এক সুন্দর কাহিনি বুনেছেন। ছবির কাহিনিতে দেখা যায় রুমি (অ্যাডোলিনা চক্রবর্তী) নামের একটি বাচ্চা মেয়েকে বাঁচানোর জন্য ডাইলুটেড মার্কারী দরকার। আর সেটা রয়েছে থাইল্যান্ডের পরিত্যক্ত সাগরদ্বীপে আর এই দ্বীপটার খবর জানে আল মাহারি (রজতাভ দত্ত)। সেখানে পাড়ি দেন বিমল (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়), কুমার(গৌরব চক্রবর্তী) ও রুবি চ্যাটার্জী (কোয়েল মল্লিক) সঙ্গে হিরন্ময় বসু (কৌশিক সেন) এবং বাঁকাশ্যাম ধর (কাঞ্চন মল্লিক)। তারপর কি হয় তা নিয়েই কাহিনি। কাহিনিটা মোটেই খোলসা করা যাবে না, কারণ ছবির মূল সম্পদ অবশ্যই ছবির কাহিনি। কাহিনির প্রতি পদে পদে রয়েছে মোচর আর জট এবং অবশ্যই রয়েছে ধাঁধা। টানটান চিত্রনাট্যের সঙ্গে রয়েছে সুন্দর সুন্দর মনোরম দৃশ্য তার উপর রয়েছে থাইল্যান্ডের বেশ কিছু সুন্দর লোকেশন দেখার হাতছানি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *