হলিউডের ডাকসাইটে অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও যে পরিবেশপ্রেমী, তা বোধহয় অল্পবিস্তর অনেকেরই জানা। পরিবেশদূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আগাগোড়াই সরব তিনি। ১৯৯৮ সালেই পরিবেশ দৃষণ রোধ করার জন্য নিজে একটি সংগঠন খুলেছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তন ভাবিয়ে তোলায় একাধিকবার বিশ্বের নানা জায়গার পরিবেশবিরোধী কর্মসূচী নিয়ে স্বর উঁচিয়েছেন। এর আগে এ বিষয়ে একাধিকবার মার্কিন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লিওনার্দো। তাঁর বক্তব্য, “গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য যেভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে, অচিরেই সারা বিশ্বের জন্য দুর্দিন আসতে চলেছে। তাই এই অবস্থার মোকাবিলা করার জন্য সবার উচিত এগিয়ে আসা।” অস্কারের মঞ্চে ‘দ্য রেভেনান্ট’ ছবির জন্য পুরস্কার নিতে গিয়েও তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল পরিবেশ নিয়ে চিন্তার সুর। লিও বলেছিলেন, “বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি মোটেই হেলাফেলা করার মতো নয়।” এবার তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে। দূষণে ছেয়ে গিয়েছে দিল্লি। প্রাণভরে শ্বাস নেওয়া দায় হয়েছে দিল্লিতে। দীপাবলির পর যেন সেই দূষণ আরও ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে। বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে রোজ অসুস্থ পড়ছেন শত শত দিল্লিবাসী। হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে বাতাসের গুণমাণের সূচক। কপালে ভাঁজ পরিবেশবিদদের। আর দিল্লির এই ভয়াবহ দূষণই ভাবিয়ে তুলেছে হলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওকে। গ্যাস চেম্বার’ দিল্লি নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে হলিউড তারকা তথা পরিবেশপ্রেমী লিওর। অস্কারজয়ী অভিনেতা লিও ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “সম্প্রতি দেড় হাজারেরও বেশি সংখ্যক দিল্লিবাসী ইন্ডিয়া গেটে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বায়ু দূষণের ফলে ভারতে প্রতি বছর ১৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতে ভিন্ন বয়সের মানুষেরা দূষণ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন।” এমনকী ভারতের বায়ুদূষণ রোধের জন্য ৪ দফা কর্মসূচীর কথাও বলেছেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও। এমনকী, চেন্নাইয়ের খরা পরিস্থিতি, ‘কাবেরি কলিং’ ইস্যু যাবতীয় বিষয়ে দূরদেশে থেকেই সরব হয়েছেন লিওনার্দো।