আট থেকে আশি প্রত্যেকেরই গোয়েন্দা গল্পের প্রতি বরাবরই এক বিশেষ আকর্ষণ আছে। বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা চরিত্রের তালিকা বেশ লম্বা। বইয়ের পাতা থেকে বেরিয়ে রুপোলি পর্দাতেও বাড়ছে তাঁদের আনাগোনা। গোয়েন্দা গল্প-প্রেমীরা রূপোলী পর্দায় নিজেদের প্রিয় গোয়েন্দাদের জীবন্তরূপ দেখতে বারবার হলমুখী হয়েছেন। ফেলদুা-ব্যোমকেশ-শবর-কিরিটির পাশে এবার জায়গা করে নিতে আসছে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের মিতিন মাসিও। পুজোর সময়েই রহস্যভেদ করতে আসছে মিতিন মাসি। প্রথমবার বাংলার সিনেমার পর্দায় আসছে মহিলা গোয়েন্দার গল্প। বইয়ের পাতা থেকে বেরিয়ে এবার বড় পর্দায় ধরা দিতে চলেছে ‘মিতিন মাসি’। সামনে এল অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘মিতিন মাসি’ ছবির টিজার। টিজারে বিভিন্ন রূপে দেখা গেল মিতিন মাসি রূপী কোয়েল মল্লিককে। যে প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়ায়, আবার প্রয়োজনে খলনায়কদের আছাড় মারতেও পারেন। আবার গাড়ি নিয়ে গুন্ডাদের তাড়া করতেও সিদ্ধহস্ত। পুরুষ গোয়েন্দাদের ভিড়ে মহিলা বলে পিছিয়ে থাকলো না পরিচালক অরিন্দম শীলের মিতিন মাসি। টিজারের অ্যাকশন সিকোয়েন্সেও দেখা গেল তুখোর কোয়েলকে। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের মহিলা গোয়েন্দা উপন্যাসের চরিত্র প্রজ্ঞাপারমিতা মুখোপাধ্যায়ের খোলসের বাইরে গিয়েও অরিন্দমের মিতিন মাসিকে অনন্য রূপে তুলে ধরেছেন কোয়েল মল্লিক। কোয়েলের কেরিয়ারে যে এক মাইলস্টোন হতে চলেছে এই ফিল্ম, তা আন্দাজ করা গিয়েছে টিজারের ঝলকেই। ‘মিতিন মাসি’ মুক্তি পাচ্ছে ২ অক্টোবর। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড-খ্যাত অভিনেতা বিনয় পাঠক। সমাজ নারীদের যতোই দুর্বল, অবাঞ্ছিত ভাবুক না কেন! প্রয়োজনে একজন নারীই পারে রণংদেহি রূপ ধারণ করে দুষ্টের দমন করতে।পরিচালক অরিন্দম শীল তাঁর আগামী ছবির সঙ্গে ঠিক এভাবেই পরিচয় করালেন। যার ইঙ্গিত মিলল টিজারেই। টিজারের শুরুতেই দেখা যায় একজন বয়স্ক লোক বলছেন, ‘মেয়েছেলে ডিটেকটিভ ?’ সমাজে মেয়েদের জায়গাটা ঠিক কোথায়, কী ভাবা হয় তাদের নিয়ে সেটাই ধরা পড়ল টিজারে । তবে এই কথার জবাব না দিয়ে চুপ থাকার মানুষ তো মিতিন মাসি নয় । সে বুঝিয়ে দেয়, কথাটা মেয়েছেলে নয়, মহিলা ।