প্রোফেসর শঙ্কুর ল্যাবরেটরিতে যেতে পারবেন দর্শক

বইয়ের পাতার প্রোফেসর শঙ্কু আর কিছুদিনের মধ্যেই আসতে চলেছে বড়পর্দায়। কিন্তু তার আগে চাইলেই শঙ্কু ভক্তরা পৌঁছে যেতে পারেন প্রোফেসরের ল্যাবরেটরিতে। চারদিকের যাবতীয় জিনিস যেন জীবন্ত হয়ে উঠবে আপনার কাছে।  আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ। সিনেপর্দায় প্রথমবার যখন সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি শঙ্কু ধরা দিতে চলেছেন তখন ব্যাপারটি যে কম চ্যালেঞ্জিং ছিল না, তা নিজেই জানালেন পরিচালক সন্দীপ রায়। ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই উন্মাদনার পারদ চড়েছে। টার্গেট অডিয়েন্স আট থেকে আশি হলেও কচিকাঁচাদের জন্য এক অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা । এই প্রজন্ম প্রোফেসর শঙ্কুকে নিয়ে কতটা আগ্রহী, তা জরিপ করতে এক নয়া অ্যাপের সঙ্গে পরিচয় করাল এসভিএফ।যুগের হাওয়ায় টেকনোলজির দাপটে ছোটদের হাতে এখন বই কম, বরং মোবাইল-ট্যাব বেশি দেখা যায়। বই পড়ার প্রবণতা প্রায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে নবপ্রজন্ম শঙ্কু এবং তাঁর অদ্ভূত আবিষ্কার- অ্যানাইহিলিন পিস্তল আর মিরাকিউরলের মতো সর্বরোগনাশক বড়ি সম্পর্কে ততটা ওয়াকিবহাল নয়। সেই ভাবনাকে কেন্দ্র করেই ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’ নিয়ে কিছু চমক দিল এসভিএফ। যার জন্যে তারা হাতিয়ার করেছে অগমেন্টেড রিয়ালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মতো টেকনোলজিকে।  এসভিএফ পরিচয় করাল ‘শঙ্কু ফ্লিপবুক’-এর সঙ্গে। ২০ পাতার একটি ইন্টাব়্যাক্টিভ বই। টেকনোলজিকে নির্ভর করে বইয়ের পাতা থেকে জীবন্ত হয়ে উঠে আসবে ছবির ট্রেলার, কমিক স্ট্রিপ ইত্যাদি। থাকছে ম্যাপও। যার সাহায্যে প্রোফেসরের হাত ধরে দর্শক পৌঁছে যেতে পারবেন ভারত থেকে আমাজনের গহীন জঙ্গলে। শুধু দরকার মোবাইলে ‘শঙ্কু অ্যাপ’-এর। প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিন। যেখানে শঙ্কু ও নকুড়বাবুকে নিয়ে থাকছে নানারকম ইন্টারেক্টিভ গেমস। মোবাইল গেমসে আসক্তরা যে বেশ উপভোগ করবেন, তা বলাই যায়। কলকাতার বিভিন্ন মল এবং সায়েন্সসিটিতে গেলে উপভোগ করতে পারবেন কীভাবে শঙ্কুর টেকনোলজি মিলে যাচ্ছে। শঙ্কু ভিআর একস্পেরিয়েন্সের আমেজে চাইলেই গা ভাসাতে পারেন।উল্লেখ্য এই প্রথমবার ভারতীয় কোনও সিনেমার চরিত্রকে ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে পাওয়া যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *