বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে, জানালেন শ্রীলেখা

মারণ করোনার থাবায় ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দেশেও। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৯। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার সমস্ত জায়গায় লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনতার উল্লাসে আতঙ্কিত টলি নায়িকা শ্রীলেখা মিত্র। স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি রয়েছেন তিনি। তাঁর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। সম্প্রতি একটি ভিডিও করেন শ্রীলেখা। সেখানে তিনি বলেন, ‘জানি না, ভবিষ্যৎ কী! আগামী দিনের আঁচ কেউ হয়তো এখনও করতে পারছেন না। এটা কোনও উৎসব নয়। দয়া করে বাড়িতে থাকুন। অন্য সব বন্ধ করে দিন। আমার বাড়িতে ৭০ বছরের বাবা আছেন। আমি ভীষণ চিন্তিত। আমার মেয়ে আছে। ওর সারা জীবন পড়ে আছে। এই লড়াইটা সকলকে একসঙ্গে লড়তে হবে। নিজে ভালো থাকুন। বাকিদের ভালো রাখুন। দেশটা মৃত্যুপুরী হয়ে যাক আমি চাই না। আমার মতো অনেকেই আছেন যাঁরা পশুপ্রেমী। আপনাদের বেঁচে যাওয়া খাবার থেকে ওদেরও একটু দিন। নইলে ওরা স্রেফ মরে যাবে না খেতে পেয়ে। এটুকুই আমার আর্জি। একটু দায়িত্বশীল হন। সাবধানে থাকুন। বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে’। তবে যারা আহাম্মকের মতো রবিবার রাস্তায় নেমে নাচানাচি করলেন তাঁদের উপর ক্ষুব্ধ তিনি। রবিবারের জনতা কার্ফু-র দিনে বিকেলে থালা-বাটি বাজানোর ঘটনায় স্তম্ভিত তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *