বড় পর্দায় মিমির প্রত্যাবর্তন, সৌজন্যে ড্রাকুলা স্যার

সাংসদ হওয়ার পর থেকে বড় পর্দায় আর কাজ করার ফুরসুত পাননি অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। নিজের কেন্দ্র ও দলের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন। পাশাপাশি নিজের প্রথম মিউজিক সিঙ্গল, অ্যালবাম, ইউটিউব চ্যানেল নিয়েও মিমির ব্যস্ততা ছিল চরম। তবে অভিনয় থেকে একেবারে বিদায় নেননি। এস ভি এফ-এর ব্যানারে পরিচালক‌ দেবালয় ভট্টাচার্য-র হাত ধরে ফের লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের দুনিয়ায় ফিরছেন মিমি । আসছে তাঁর নতুন ছবি ‘ড্রাকুলা স্যার’। ছবির গল্প লিখেছেন পরিচালক স্বয়ং। পরিচালকের কথায় ‘ ড্রাকুলা আমার খুব প্রিয় চরিত্র। কিন্তু আমার কাছে সে ভয়ের নয়। তাকে একা ও দুঃখীই লাগে আমার। একটা বাঙালি ড্রাকুলার গল্প বলতে চেয়েছি এবং সে সেই ড্রাকুলা কেন হয়ে ওঠে ও সেটা হয়ে উঠতে গিয়ে তার নিজেকে মিথ বানানোর জন্য কি করতে হয়। সেই থেকেই হয়ে ওঠে গল্পটা।’ জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু হবে ছবির শুটিং। ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া নসফেরাতু দ্য‌ ভ্যামপায়ার বা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ড্রাকুলা দেবালয়ের পছন্দের । এছাড়াও শ্যাডো‌ অফ দ্য ভ্যামপায়ার ও‌ ১৯৩১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ড্রাকুলায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করা বেলা লুগসিও তার বেশ পছন্দের। বিদায় ব্যোমকেশের পর দেবালয় ড্রাকুলা স্যার নিয়ে আসছেন দর্শকদের জন্য। ছবির নাম শুনে ভৌতিক মনে হলেও আদতে এটি একটি সাইকোলজিকাল থ্রিলার বলেই জানালেন পরিচালক।ছবি সম্পর্কে দেবালয় বলেন,”এটি একটি সাইকোলজিকাল থ্রিলার, যাতে থ্রিল কম, দুঃখ বা বিষাদ বেশি। এক শিক্ষকের সামনের দুটি গজ দাঁত স্বাভাবিকের থেকে বড় । তাঁকে দেখলে ভ্যাম্পায়ার বলে মনে হয় । যার জন্য স্কুলের ছেলেমেয়েরা তাঁকে ‘ড্রাকুলা স্যার’ বলে ডাকে । এবং এই পরিস্থিতি বাড়তে বাড়তে এমন একটা জায়গায় চলে যায় যে, তাঁর জীবনে ঘটে যায় একটা ঘটনা । যার ফলে তিনি হয়তো সত্যিই একদিন ড্রাকুলা হয়ে ওঠেন । অবশ্য তিনি সত্যিই ড্রাকুলা হয়ে উঠেছিলেন কি না তা জানা যাবে ছবিটি দেখলে।” এই শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা যাবে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে।ছবির গল্প ১৯৭১ সালের কলকাতার প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে। ছবিতে অনির্বাণ কলকাতার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। চরিত্রটির নাম রক্তিম। আসলে তাঁর সামনের দাঁত দুটি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বড়। তাই তাঁকে ‘ড্রাকুলা স্যার’ বলেই ডাকে সবাই । অন্যদিকে মিমির চরিত্রের নাম মঞ্জরী।এক নিঃসঙ্গ, বিষন্ন নারী চরিত্র মঞ্জরী। পরিচালক দেবালয়ের দাবি, মিমির এই দিকটা কখনো পর্দায় তুলে ধরা হয়নি। মিমি নিজেও এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব পেয়ে উত্তেজিত। তাই এক কথাতেই হ্যাঁ করেছেন। এ প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, “মিমি নিজেই এই চরিত্রে অভিনয় করতে উৎসাহী হয়েছিলেন । তবে ছবিতে রক্তিমের স্কুলের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত ছিলেন না তিনি । কিন্তু, পরিস্থিতি তাঁকে ড্রাকুলা স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয় । ছবির স্ক্রিপ্ট লেখার সময় অনির্বাণের কথা ভেবে লিখেছিলাম ।” ছবিতে মিমি ও অনির্বাণ ছাড়া অন্যান্য চরিত্রে কারা থাকবেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। আগামী বছরেই ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানান দেবালয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *