মুক্তি পেল ‘প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’ ছবির ট্রেলার

সত্যজিৎ রায় বইয়ের পাতায় আত্মভোলা বৈজ্ঞানিক প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কুর সঙ্গে আমাদের পরিচয়।প্রফেসর শঙ্কুর কল্পবিজ্ঞানের গল্প পড়ে আকাশ-পাতাল কল্পনা ছোটোবেলায় কম-বেশি আমরা সকলেই করেছি। মিরাকিউরল বড়ি, নিশ্চিহ্নাস্ত্র, পিরানহা মাছ, ডায়নোসর, ইয়েতি সব মিলিয়ে গ্রীষ্মকালের দুপুরটা সেই কল্পনার জগতে  কেটে যেত এক লহমায়। শঙ্কু মানেই অ্যাডভেঞ্চার নতুন অদ্ভুত আবিষ্কার। গিরিডির এই আত্মভোলা বৈজ্ঞানিকের গল্প এবার দেখা যাবে সিনেমার পর্দায়। সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সৃষ্টি ‘প্রফেসর শঙ্কু’। ছেলে সন্দীপ রায় সেই শঙ্কুকে হাজির করলেন বড় পর্দায় । একরাশ নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনলেন সন্দীপ রায়। পুজোর সারপ্রাইজ হিসেবে ষষ্ঠীতে মুক্তি পেয়েছিল সেই ছবিরই ফার্স্ট লুক পোস্টার। এ বছর শ্রষ্ঠার জন্মদিনে প্রকাশ্যে এসেছিল ছবির মোশন পোস্টার। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মুক্তি পেল ‘প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’ ছবির ট্রেলার। সত্যজিৎ রায়-এর ‘নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো’ কাহিনি অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবি। সত্যজিতের সৃষ্টি এই নকুড়বাবু চরিত্রটি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান প্রফেসর শঙ্কু। কিন্তু শুভাকাঙ্খী নকুড়বাবু জানান, সেখানে তাঁর বিপদ রয়েছে। বিপদ থেকে প্রফেসরকে বাঁচাতে তাঁর সফরসঙ্গী হন নকুড়বাবু। ব্রাজিলে গিয়ে সলোমন ব্লুমগার্টেন নামে এক ব্যক্তির চোখে সোনার খনি ‘এল ডোরাডো’ নিয়ে লালসা দেখতে পান নকুড়বাবু। জানতে পারেন, দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশ ঘুরেও এল ডোরাডোর সন্ধান পাননি সলোমান। টাকার লোভে প্রফেসরের সঙ্গী নকুড়বাবু তাঁর সফরসঙ্গী হন। কিন্তু সত্যিই কি প্রফেসরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নকুড়বাবু? আর এল ডোরাডো? সোনার শহর কি সত্যিই বর্তমান? নাকি নকুড়বাবুর অলৌকিক শক্তির সাহায্যেই একমাত্র তা বাস্তবে আনা সম্ভব? ছবিতে প্রফেসরের ভূমিকায় দেখা যাবে ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়কে। আর নকুড়বাবুর চরিত্রে রয়েছেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। নকুড়বাবুর অলৌকিক শক্তিপ্রাপ্তি, শঙ্কুর সাও পাওলো যাওয়া, আদিবাসীদের আক্রমণ, এল ডোরাডোর সন্ধান, সবই উঠে এসেছে ট্রেলারে। বড়দিনের আমেজেই মুক্তি পাবে ‘প্রফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’। কলকাতা ও গিরিডিতে হয়েছে ছবির প্রথমভাগের শ্যুটিং। এমনকি জার্মান, ব্রিটিশ, ব্রাজিলিয়ান চরিত্রদেরও দেখা যাবে এই ছবিতে। কাহিনির প্রয়োজনেই বেশ কিছু সংলাপ থাকবে ইংরেজি ভাষাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *