আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ‘আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ২০২০’। ‘চিলড্রেন’স ‘ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে এবারে এই উৎসব ১৩তম বর্ষে পদার্পন করতে চলেছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হবে ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে। এ বছর মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ‘স্পেশাল ফিল্ম কম্পিটিশন বিভাগ’ রাখা হয়েছে। যেখানে বিষয় হলো, প্রজন্মের চোখে বঙ্গবন্ধু’। এবারে অনুষ্ঠানের শ্লোগান হচ্ছে ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’। ঢাকায় মূল উৎসব কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনটি। উদ্বোধনী দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট ৪টি প্রদর্শনী হবে। এবারের উৎসবে ঢাকাতে মোট ৫টি ভেন্যুতে ৩৯ দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে। উৎসবের সকল প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত। এবারও উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগটি। এই বিভাগে এবার ৪৮টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্য থেকে নির্বাচিত ১৮টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এই ১৮টি চলচ্চিত্রের ৫টি চলচ্চিত্র পাবে পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও আর্থিক প্রণোদনা। পুরস্কারের জন্য গঠিত ৫ সদস্যের জুরি বোর্ডের সবাই শিশু-কিশোর। অর্থাৎ, ছোটদের নির্মিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলো বাছাই করবে ছোটরাই। প্রতিযোগিতা বিভাগে যাদের ছবি দেখানো হবে তাদের উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে উৎসবে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবারও ‘ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট’ শীর্ষক বিভাগটি রয়েছে, যেখানে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নিয়েছে। এছাড়াও একইসঙ্গে রয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগ। এ বিভাগে উৎসব কমিটির দ্বারা মনোনীত বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মোট ১০৫টি চলচ্চিত্র অংশ নিচ্ছে।