শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন খ্যাতনামা চলচ্চিত্র সম্পাদক সঞ্জীব দত্ত

প্রয়াত প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সম্পাদক সঞ্জীব দত্ত।পরিবার সূত্রে খবর, মাত্র ৫ দিন আগেই এক বেসরকারি হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার হয়েছিল সঞ্জীব দত্তের। শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হওয়ার কারণেই সঞ্জীব দত্তের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আজ দুপুর নাগাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই ঘনিষ্ঠ মহলে নেমেছে শোকের ছায়া। গুণী চলচ্চিত্র সম্পাদকের মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রি তথা বলিউডের সঙ্গে জড়িত বহু ব্যক্তি। চলচ্চিত্র সম্পাদনা ছাড়াও ৬৩তম জাতীয় পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি। পুণে ফিল্ম ইনস্টিউটে চলচ্চিত্র সম্পাদনা নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি।  শুধু টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেই নয়, অসধারণ কর্মদক্ষতার অধিকারী হওয়ায় বলিউডেও খ্যাতিলাভ করেছিলেন সঞ্জীব কুমার দত্ত। ‘এক হাসিনা থি’, ‘মর্দানি’, ‘মিশন কাশ্মীর’, ‘ইকবাল’, ‘ডর’-এর মতো একাধিক বড়সড় বলিউড ছবির সম্পাদনা করেছেন তিনি। ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’-এর সম্পাদনাও তিনিই সেরেছেন। এছাড়াও অরিন্দম শীলের ‘আসছে আবার শবর’, অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের ‘শঙ্কর মুদি’, প্রতীম ডি গুপ্তর ‘সাহেব বিবি গোলাম’ এবং ‘শেষের গল্প’-এর মতো টলিউডের বহু ছবির সম্পাদনাও করেছেন সঞ্জীব দত্ত। চলচ্চিত্র সম্পাদনার জন্য একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ‘এক হাসিনা থি’র জন্য জি সিনে অ্যাওয়ার্ড, ‘মর্দানি’র জন্য স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড, ‘সাহেব বিবি গোলাম’ এর জন্য ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, ‘ইতি শ্রীকান্ত’, ‘মায়া বাজার’ এর জন্য BFJA অ্যাওয়ার্ড। কাজের জন্য দীর্ঘদিন মুম্বইতেই থাকলেও ২০১১ সালে তিনি কলকাতায় নিজের জায়গাতে ফিরে আসেন এবং এখানেই থাকতে শুরু করেন। প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করতেন। তাই বোধহয় একেবারে নিঃশব্দেই চলে গেলেন সঞ্জীব দত্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *