পুজোয় বাংলা সিনেমার দর্শকদের জন্য আসছে নতুন ব্যোমকেশ। পুজোর সময়েই মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল-এর ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’। ওয়েব সিরিজের পর এই প্রথমবার বড়পর্দার জন্য পরিচালনা করছেন সায়ন্তন । এর আগে দর্শক ব্যোমকেশের ভূমিকায় আবির চট্টোপাধ্যায় ও যিশু সেনগুপ্ত-কে দেখেছেন। তবে এবার পরিচালক তাঁর ব্যোমকেশ হিসেবে বেছে নিয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। অজিতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। সম্প্রতি মুক্তি পায় সায়ন্তন ঘোষাল-এর ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’-এর টিজার।এই পুজোতেই ব্যোমকেশ বেশে পর্দায় ধরা দেবেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। টিজারে নজরে এল রুদ্রনীল ঘোষ এবং অঞ্জন দত্তের উজ্জ্বল উপস্থিতিও। যদিও এর আগেই ছবির পোস্টার মুক্তি পেয়ে গিয়েছিল। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মগ্নমৈনাক’ গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ছবিটি। এই সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার গুরুদায়িত্ব নিয়েছেন পর্দায় ব্যোমকেশ বক্সি-র অন্যতম পরিচালক অঞ্জন দত্ত। ‘মগ্নমৈনাক’-এর পটভূমিকা স্বাধীনতার ঠিক পরের। গল্পে মিশে রয়েছে দেশদ্রোহিতার গন্ধ। সন্তোষ সমাদ্দারের বাড়িতে থাকে হেনা। অথচ সে সন্তোষবাবুর কেউ হয় না। লতায়-পাতায় আত্মীয়ও নয়। কিন্তু বাড়ির লোক যা সুবিধা পায় না, সেই সুবিধা ভোগ করে হেনা। এই হেনা হঠাৎই একদিন ছাদ থেকে পড়ে মারা যায়। রহস্যোদঘাটনের কাজে নেমে পড়েন ব্যোমকেশ। সঙ্গে তাঁর চিরন্তন সঙ্গী অজিত। তদন্তে করতে গিয়ে জানা যায় বাড়ির দুই ছেলে যুগল আর উদয়ের নজর ছিল হেনার দিকে। সন্তোষবাবুর সেক্রেটারি রবি বর্মাও সন্দেহের বাইরে ছিল না। ক্রমে জানা যায় এক বাঁশিওয়ালার খবর। শহরের অন্য এক প্রান্তে খোঁজ মেলে একটি ঘরের। যার চাবি ছিল হেনার কাছে। কিন্তু ঘরের ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও জানত না কেউ। এই নিয়েই রহস্য ক্রমে জট বেঁধেছে ‘মগ্নমৈনাক’-এ। এই ছবির সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন নীল দত্ত। ছবিটি প্রযোজনা করেছে গ্রিনচাট এন্টারটেনমেন্ট। এবারের কাহিনি, প্রেক্ষাপট, গোয়েন্দাগিরির কৌশল সবই একটু আলাদা। টিজারেও অবশ্য সেই ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। তবে নতুন ব্যোমকেশ পরমব্রত দর্শকদের কতোটা খুশি করতে পারেন তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে পুজো পর্যন্ত।