অকস্মাৎ চলে গেলেন গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক পৃথ্বীরাজ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৪ বছর। শনিবার রাত ১০টার দিকে কাজ করার জন্য ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে নিজের স্টুডিওতে যান পৃথ্বীরাজ। কিন্তু রাতে তাঁর স্ত্রী ফোন করে তাঁকে পাননি। প্রথমে ভেবেছিলেন, কাজে ব্যস্ত পৃথ্বী। কিন্তু বেশ কিছুটা সময় কেটে গেলেও ফোনে পাওয়া যায় না পৃথ্বীরাজ-কে। তিনি ফোন না ধরায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি স্টুডিও-এ যায় সকলে। সেখানে স্টুডিওর দরজা ভেঙে দেখা যায় চেয়ারেই নিস্তেজ পড়ে আছেন তরুণ এই সুরকার। পৃথ্বীরাজকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন পৃথ্বীরাজের ছোট ভাই ঋতুরাজ। সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই পৃথ্বীরাজ-এর মৃত্যু হয়। পৃথ্বীরাজের ছোট ভাই ঋতুরাজ ফেসবুক পোস্টে দাদা-র মৃত্যুর খবর জানান। তিনি আরও জানিয়েছেন রবিবার জোহরের পর আজিমপুর কবরস্থানে জানাজা হবে পৃথ্বীরাজের। দেশের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ক্লোজ আপ ওয়ানের মাধ্যমে প্রথম দর্শকের কাছে পরিচিতি পান পৃথ্বীরাজ। পরবর্তীতে ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অ্যালবাম ‘ডট’। উচ্চাঙ্গসংগীতে দখলের জন্য সংগীত প্রেমীদের প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এবিসি রেডিও এফএম ৮৯.২ এর প্রডাকশন ইনচার্জ পৃথ্বীরাজ ‘সেন্টার ফর মিউজিকলজি’ নামে একটি গানের স্কুলও চালাতেন। পৃথ্বীরাজ-এর আচমকা এভাবে চলে যাওয়া যেন মেনে নিতে পারছেন না কেউই। খুব স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসছে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মহলে।