বিবেক ওবেরয় অভিনীত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক রূপালি পর্দায় দ্বিতীয়বার মুক্তি পাওয়ার আগেই ফের বিতর্কে জড়ালেন এই বলিউড অভিনেতা। ড্রাগ মামলায় অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের মুম্বইয়ের বাড়ি তল্লাশি করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। কন্নড় সিনেমার দুনিয়ায় স্যান্ডলউড ড্রাগ পাচার নিয়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে এ চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে নামী গায়িকা ও অভিনেতা-সহ ১৫ জন গ্রেপ্তারও হয়েছে। কন্নড় সেলেবদের কাছে ড্রাগ পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আদিত্য আলভার-এর বিরুদ্ধে। তিনি সম্পর্কে বিবেক ওবেরয়ের শ্যালক। বিবেকের বাড়িতে আদিত্যর খোঁজেই মূলত পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু সিসিবি (কেন্দ্রীয় অপরাধ শাখা) পুলিশ। আদিত্য তল্লাশিতেই অভিযান চালানো হয় বিবেকের বাড়ি। কন্নড় পরিচালক ইন্দ্রজিত্ লঙ্কেশের বয়ান অনুযায়ী ড্রাগ র্যাকেটের অন্যতম অভিযুক্ত আদিত্য আলভা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আলভা তার বোন প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে লুকিয়ে আছে কি না তা জানতেই সিসিবি আধিকারিকরা মুম্বইয়ে বিবেক ওবেরয়ের বাড়িতে তল্লাশির জন্য আদালতের থেকে ওয়ারেন্ট পান। পুলিশ স্যান্ডেলউড ড্রাগস মামলায় রাগিনী দ্বিবেদির বাড়িতে অভিযান চালানোর পর থেকে আলভা পলাতক। তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সেপ্টেম্বরে এই মামলায় আলভার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিসও জারি করা হয়েছে। সিসিবির মতে আদিত্য এই মামলার পঞ্চম অভিযুক্ত। তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী পারিবারের। তাঁর বাবা প্রয়াত জীবনরাজ আলভা ছিলেন মন্ত্রী। এবং জীবদশায় তিনি অত্যন্ত শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান নেতা ছিলেন। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী রামকৃষ্ণ হেগডের ডান হাতের বলেই পরিচিত ছিলেন জীবনরাজ আলভা। সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন তাঁর ছেলে আদিত্য, এমনই অভিযোগ। আদিত্যর মা নন্দিনী আলভাও সমাজের প্রতিষ্ঠিত। তিনি বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী এবং ইভেন্ট অর্গানাইজার হিসেবে পরিচিত। বেঙ্গালুরু হাব্বা প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম একজন তিনি। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা ১৯৯৯-২০০৪ এর মধ্যে গঠিত হয়েছিল তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী এস এটি এম কৃষ্ণের আমলে চালু হয়েছিল। বেঙ্গালুরু পুলিশের যগ্ম কমিশনার সন্দীপ পাটিল জানান, আদিত্য আলভার পলাতক। বিবেক ওবেরয় তাঁর আত্মীয়। আমরা খবর পেয়েছিলাম, আদিত্য এখানে আত্মগোপন করে আছে। তাই কোর্টের অর্ডার নিয়েই আমাদের অপরাধ দমন শাখার সদস্যরা মুম্বই গিয়েছে।