পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, ধৃত ৩ প্রতারক

পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৩ প্রতারক। রাজ চক্রবর্তীর নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলার পাশাপাশি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এক মহিলা-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল, অর্থাত্‍ শনিবার এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ। আপাতত পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে এই তিন প্রতারক। গতকাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এই ঘটনা সকলকে জানিয়ে সাবধানও করে দিয়েছিন রাজ। পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে শিশু শিল্পীর খোঁজে নিজের ফেসবুক পেজে একটি বিজ্ঞাপন দেন রাজ। বিজ্ঞাপন নজরে আসতেই অনেক অভিভাবকই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাচ্চাদের অডিশনও হয়। এর মধ্যেই রাজের কানে খবর যায় যে কেউ কেউ পরিচালকের নাম করে অভিভাবকদের থেকে টাকা নিচ্ছে। বদলে তাঁদের সন্তানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। গোটা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে পুলিশের দ্বারস্থ হন রাজ। যোগাযোগ করা হয় এক প্রতারিক অভিভাবকের সঙ্গেও। এর পরেই পুলিশের জালে পাকড়াও হয় এই তিনজন। রাজের দাবি, এই তিন প্রতারকই বিজ্ঞাপন দেখে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তারপর ফেসবুকে রাজের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে তারা। এমনকি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য ওই ভুয়ো প্রোফাইলে বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতারকরা যে চ্যানেলে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এক অভিভাবক। এরপরেই প্রকাশ্যে আসে প্রতারণা চক্রের কীর্তিকলাপ। এই কাজে আর কে বা কারা জড়িত আছে তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গতকাল ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে এই প্রসঙ্গে একটি বিস্তারিত পোস্ট করেছেন পরিচালক। রাজ লিখেছেন, ‘ফেসবুকে আমার এবং আমার কোম্পানি ‘রাজ চক্রবর্তী এন্টারটেইনমেন্ট ‘- এর নাম করে প্রচুর ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে। এবং, প্রচুর মানুষ নিজের অজান্তেই বুঝতে না পেরেই সেই সব ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ফলো করছে। তাদের সহজ মানসিকতার সুযোগ নিয়ে কিছু ভুয়ো লোকজন এই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে মেয়েদের সাথে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল চ্যাট করছে। অনেকের কাছ থেকে অভিনয় করার সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে প্রচুর টাকাও নিচ্ছে। আমি আগেও বলেছি, আমি ফেসবুকে কারোর সাথে ব্যাক্তিগত ভাবে চ্যাট করি না। আর, social media-তে আমার বা আমার কোম্পানির প্রত্যেকটি পেজই VERIFIED. অর্থাত্‍, পেজের পাশে একটি ‘blue tick’ দেওয়া আছে। আমাদের এখানে টাকার বিনিময়ে কোনওরকম কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয় না। কাজ করার মাপকাঠি শুধুমাত্র তোমাদের যোগ্যতা। আমরা আজকেই তিনজন ভুয়ো ব্যাক্তি-র নামে কসবা থানায় ডায়েরি করেছি। এখন তারা পুলিশের হেফাযতে। সুতরাং, আপনাদের বারংবার অনুরোধ করছি এই ধরনের মিথ্যে প্রলোভনে পা দেবেন না। ধন্যবাদ।’

ফেসবুকে আমার এবং আমার কোম্পানি 'রাজ চক্রবর্তী এন্টারটেইনমেন্ট '- এর নাম করে প্রচুর ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে। এবং,…

Posted by Raj Chakraborty on Saturday, 3 October 2020

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *