ইংল্যান্ডে ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশনের নতুন সঙ্গীত পাঠ্যক্রমের গাইডেন্সে অন্তর্ভুক্ত হল বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম সং ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’। ভারতীয় সঙ্গীতের যে বিবিধ ধারা সেটা যাতে ছাত্রছাত্রীরা বুঝতে পারে, সেকারণেই ‘দাবাং’ এর এই গান টি পাঠ্যক্রমে ঢোকানো হয়েছে। ২০১০ সালের জনপ্রিয় ছবি ছিল দাবাং। নায়কের ভূমিকায় সেখানে অভিনয় করেছিলেন সলমন খান। ছবির সঙ্গে সঙ্গে গানগুলিও দর্শকদের মন জয় করে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল মালাইকা অরোরা অভিনীত আইটেম সং ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’। এই গানের অন্তর্ভুক্তি কেন করা হল সেই সম্পর্কে অবহিত করার সময়ে গাইডেন্সে বলা হয়েছে, “বলিউডের ছবিতে আইটেম গানের গুরুত্ব আছে।” ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’ সম্পর্কে পাঠ্যক্রমে লেখা হয়েছে, ”প্লটে প্রয়োজন ছাড়াই এই আইটেম নম্বরটি বলিউডের ছবিতে ফুটে উঠে, এখানে মালাইকা আরোরার সঙ্গে, গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র পুলিস অফিসার চুলবুল পাণ্ডেকেও দেখা গিয়েছে। যিনি এই ছবির প্রযোজকও বটে। কেবলমাত্র এই গানের দৃশ্যায়নে এই ছবিতে দেখা মিলেছে মালাইকার”। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে এই গান তার সঙ্গীতের দ্রুত লয়, মন ভোলানো দৃশ্যপট এবং লাস্যময়ী নাচের জন্য দর্শকদের মনে গেঁথে গিয়েছে। এছাড়াও ডিএফই-র সঙ্গীত পাঠ্যক্রমে রাখা হয়েছে কিশোরী আমনকরের ‘সহেলি রে’, অনুষ্কা শঙ্করের ‘ইন্ডিয়ান সামার’, এআর রহমানের ‘জয় হো’। ভারতীয় সঙ্গীতের উল্লেখযোগ্য অংশ হিসাবে এই গানগুলি পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পিটিআই সূত্রে খবর, ১৫ জন বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এই সিলেবাস তৈরি করেছেন। ২০ শতকে ভারতীয় ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম প্রধান কণ্ঠশিল্পী কিশোরী আমোনকারের কথায়, ”আমার মতে সঙ্গীতের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার যোগ রয়েছে। সঙ্গীত পরমাত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে।” রবি শঙ্কর এবং অনুষ্কা শঙ্করের যন্ত্রসঙ্গীতও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ বলে এই স্কুলের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা আছে। ডিএফই জানিয়েছে যে এর মডেল সংগীত পাঠ্যক্রমটি প্রতি বছর গ্রুপে কী শেখানো যেতে পারে তার একটি কাঠামোগত রূপরেখা সরবরাহ করে। এটি শিক্ষকদের পাঠ পরিকল্পনা করা এবং কাজের চাপ হ্রাস করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে কেস স্টাডি সরবরাহ করা হয় যাতে শিক্ষকরা ব্যবহারিক উপায়ে জ্ঞান, দক্ষতা এবং ছাত্রছাত্রীদের বোধগম্যতার সমন্বয় সাধন করতে পারেন।