আজ ৭২-এ পা দিলেন বলি অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। তবে এই বছরের জন্মদিনটা প্রতিবছরের থেকে যেন একটু ভিন্ন। এই বছরটা পরিবার, ছেলে মেয়ে সবার থেকে দূরে রয়েছেন জয়া বচ্চন। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, লকডাউনের কারণে দিল্লিতে আটকে পড়েছেন জয়া বচ্চন। আর তাই দিল্লিতেই একা একাই সময় কাটছে তার। জন্মদিনের সকালে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন অভিষেক বচ্চন এবং শ্বেতা বচ্চন নন্দা। নিজেদের ছোটবেলার ছবি শেয়ার করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মাকে মনের মনের কথা জানিয়েছেন অভিষেক এবং শ্বেতা। মার একটি ছবি পোস্ট করে অভিষেক লেখেন, ‘প্রত্যেক সন্তানের কাছেই সবচেয়ে প্রিয় শব্দ মা। শুভ জন্মদিন মা। যদিও লকডাউনের জন্যে তুমি এখন আমাদের থেকে অনেক দূরে দিল্লিতে, তবুও জানবে প্রতি মুহূর্তে আমরা তোমার কথাই মনে করছি, মনের মধ্যে শুধু তুমিই আছো। তোমায় ভালোবাসি মা…’ অন্যদিকে শ্বেতা লিখেছেন, ‘তোমাকে আমার হৃদয়ে নিয়ে ঘুরি মা। যেখানেই যাই না কেন তুমি সব সময়ে আমার সঙ্গে থাকো। হ্যাপি বার্থডে মা।’ সাধারণ বাঙালি পরিবারের মেয়ে হয়েও বি-টাউনে ‘রাজ’ করতেন জয়া বচ্চন ভাদুড়ি। ৯ এপ্রিল জন্মদিন তাঁর, এই দিনেই মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জয়া। তাঁর বাবা ছিলেন বিখ্যাত সাংবাদিক তরুণকুমার ভাদুড়ি এবং মা ইন্দিরা ভাদুড়ি। তরুণকুমার ভাদুড়ির এক বিখ্যাত বই ছিল অভিশপ্ত চম্বল। যে বইটা থেকে বহু হিন্দি ছবি অনুপ্রাণিত। জয়া ভাদুড়ি ভোপালের সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করতেন। ১৯৬৬ সালে সারা ভারতের সেরা এনসিসি ক্যাডেট সম্মানে সম্মানিত হন জয়া। ১৯৭১ সালে হৃষিকেশ মুখার্জি পরিচালিত গুড্ডি ছবি দিয়েই জয়া জয়া ভাদুড়ির বলিউডে হাতেখড়ি। ১৯৭২-এ বংশী বিরজু ছবিতে প্রথম অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে অভিনয় করেন জয়া। ছবিটির পরিচালনায় ছিলেন প্রকাশ ভার্মা। ১৯৭৩ অভিমান ছবিতেও জয়ার বিপরীতে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। সেরা অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার বেস্ট অ্যাকট্রেসের খেতাব জেতেন জয়া। ১৯৮১ সালে সিলসিলা ছবির পর সিনে দুনিয়ায় লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। তারপর ২০০১ সালে ফের কাভি খুশি কাভি গাম ছবি দিয়ে পার্দায় ফেরেন জয়া। সিনে দুনিয়া থেকে এখন তিনি অনেক দূরে, নাম লিখিয়েছেন রাজনীতিতে। এখন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ তিনি।