একসময়ের ‘ফ্লপ মাস্টার জেনারেল’ অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায় থেকে ক্রমে তিনি হয়ে উঠেছিলেন উত্তমকুমার। নায়ক থেকে মহানায়ক হয়ে প্রায় এককভাবে হয়ে গিয়েছিলেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অধিপতি। আজও তাই না থেকেও তিনি ভীষণরকমভাবে রয়ে গিয়েছেন টলিউডে। আর তাঁকে কেন্দ্র করে একসময় নানা বিখ্যাত গল্পের জন্ম হয়েছে টলিপাড়ায়। এহেন কিংবদন্তি অভিনেতার পুরো জীবনটিকেই টুকরো টুকরো কোলাজ গাথায় মোড়কবদ্ধ করে বড় পর্দায় মেলে ধরেছেন পরিচালক প্রবীর রায়। তাঁর ডকু ফিচার ‘যেতে নাহি দিব’র মধ্যে দিয়ে। রয়’জ মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট প্রযোজিত ও প্রেজেন্টার ফেস নিবেদিত এই ছবির কাজ হয়েছে প্রায় দু’বছর ধরে। আর্থিক প্রতিকূলতায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। তবে তা দমাতে পারেনি পরিচালককে। উত্তমকুমারের পরিবারের অভিযোগ, তথ্যচিত্রে মহানায়ককে নিয়ে আপত্তিকর কিছু দৃশ্য রয়েছে। তাই আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মহানায়কের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, পরিচালক কিছু আপত্তিকর দৃশ্য ব্যবহার করেছেন। যাতে বাঙালির মনে মহানায়কের যে প্রতিচ্ছ্ববি রয়েছে, তার সম্পূর্ণ বিরোধী। মহানায়কের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করেছে এই দৃশ্যগুলি। অভিযোগ এমনই।যদিও একথা মানতে নারাজ পরিচালক প্রবীর রায়। তিনি বলেছেন, শুধু বাংলার নয়, দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা উত্তমকুমার। তাঁর ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার চেষ্টা তিনি করবেন কেন? তিনি এও প্রশ্ন তোলেন, কীসের উপর ভিত্তি করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে? তবে বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনীও তিনি ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন। আদালতে লড়াই চলবে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, এনিয়ে এর আগেই আইনজীবীর চিঠি গিয়েছে তথ্যচিত্রের পরিচালক ও প্রযোজকের হাতে। দাখিল হয় ক্যাভিয়েটও।ছবিতে উত্তমকুমারের চরিত্রে দেখা যাবে সুজন মুখোপাধ্যায়কে। অল্পবয়সি (যুবা বয়সের) উত্তমকুমারের চরিত্রে রয়েছেন অমিত ভট্টাচার্য। এই ছবিতে যেমন ব্যবহার করা হয়েছে উত্তমকুমার অভিনীত ‘বসু পরিবার’, ‘ইন্দ্রাণী’, ‘লালপাথর’, ‘যদুবংশ’র মতো ক্লাসিক্যাল ছবির ক্লিপিংস, তেমনই উঠে এসেছে উত্তমকুমারের সমসাময়িক নায়িকাদের প্রসঙ্গও।